সর্বশেষ ২০১৫ সালে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো হয়েছিল। সে সময় তাদের বেতন বেড়েছিল সর্বনিম্ন ৯১ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১০১ শতাংশ পর্যন্ত। মূল বেতনের পাশাপাশি আবাসান, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতাসহ অন্যান্য ভাতাও বাড়ানো হয়েছিল। তবে বর্ধিত ভাতা কার্যকর হয় ২০১৬ সালের ১ জুলাই।চলতি বছরেই ফের বাড়তে পারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের তবে এবার বেতন স্কেলের কোনো সামগ্রিক পরিবর্তন হবে না। এর পরিবর্তে বিদ্যমান স্কেলে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বেতন বাড়ানো হতে পারে। অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
বর্তমানে একজন সদ্য বিসিএস উত্তীর্ণ কর্মকর্তার মূল বেতন ২২ হাজার টাকা। এর সঙ্গে প্রযোজ্য আবাসান ভাতাসহ অন্যান্য ভাতা পেয়ে থাকেন। ২০১৫ সালে নতুন বেতন স্কেল কার্যকর হওয়ার আগে তাদের মূল বেতন ছিল ১১ হাজার টাকা। বর্তমানে বিদ্যমান বেতন স্কেল অনুসারে সর্বোচ্চ মূল বেতন ৭৮ হাজার টাকা। আর সর্বনিম্ন মূল বেতন ৮২৫০ টাকা।জানা গেছে, সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৈষম্য দূর করতে ‘বেতন বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’ পুনঃগঠন করা হচ্ছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করার প্রস্তাব করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- শিল্পমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, আইন, বিচার ও সংসদ বিষযক মন্ত্রী এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী। এই কমিটিকে সহায়তা দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিযর সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব/সচিব, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিব/ভারপ্রাপ্ত সচিবরা।কমিটির কার্যপরিধির মধ্যে রয়েছে-বেতন বৈষম্যের প্রাপ্ত অভিযোগগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সেগুলো নিস্পত্তির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান। এ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় পর্যালোচনা করে সুপারিশ করবে।
এর আগে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ‘বেতন বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’ গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ওই কমিটিও ৭ সদস্য বিশিষ্ট ছিল। তবে তখন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তিনি কমিটির সদস্য ছিলেন। তবে চলতি মন্ত্রিপরিষদে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী না থাকায় পুনঃগঠিত কমিটিতে তাকে রাখা হয়নি। তার পরিবর্তে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীকে নতুন কমিটির সদস্য রাখা হয়েছে।সূত্র জানিয়েছে, অর্থমন্ত্রী ইতিমধ্যে সার সংক্ষেপে অনুমোদন দিয়েছেন। জনপ্রশাসন বিভাগ থেকে খুব শিগগিরই এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি হবে।
প্রতিনিধি