রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারীদের উপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে সাতজনকে হত্যার ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার তিনকোনিয়া ইউনিয়নের আলিক্ষণ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নে নির্বাচনী কাজ শেষ করে মঙ্গলবার সকালে স্ত্রী এবং ছেলেকে নিয়ে কাপ্তাই হৃদ হয়ে নৌকায় করে বিলাইছড়ি সদরে আসছিলেন সুরেশ। পথে তিনকোনিয়া ইউনিয়নের আলিক্ষণ পাড়ায় একদল দুর্বৃত্ত তাদের নৌকা থামিয়ে তার স্ত্রী এবং ছেলেকে লাথি মেরে নৌকা থেকে ফেলে দেয় এবং সুরেশকে পাশের একটি টিলায় নিয়ে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুছা মাতব্বর।
বিলাইছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসিফ ইকবাল জানান, সুরেশ কান্তির লাশ উপজেলা সদরে নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাঙামাটি নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হাজী মো. মুসা মাতব্বর এ হত্যাকাণ্ডের জন্য জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস)দায়ী করেছেন।তিনি বলেছেন, সুরেশ হত্যার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটি শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।অভিযোগ অস্বীকার করে জনসংহতি সমিতির জেলা সম্পাদক নীলোৎপল খীসা বলেন, আমরা এ ধরনের রাজনীতি করি না। এসব ঘটনার সাথে আমাদের জড়ানোর চেষ্টা আসলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার হীন প্রচেষ্টা
প্রতিনিধি