নিউ জিল্যান্ডে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভ্রমণের বিষয়ে ট্রাভেল অ্যাডভাইজরি বা ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ। দেশটিতে যারা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যেতে চাইছেন তাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে এই সতর্কতা নোটিশ জারি করা হয়েছে। সোমবার (১৮ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এই তথ্য জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেখানে সাম্প্রতিক নৃশংস হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বাংলাদেশিদের সেখানে ভ্রমণের ব্যাপারে সতর্ক করছি।
সেখানকার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশটির দুটি মসজিদে বন্দুকধারীর গুলিতে পাঁচজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এছাড়াও তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। এছাড়াও এক বাংলাদেশি এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ বাংলাদেশি কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একজন ভারতীয় সেখানে দাবি করেছে, শাওন নামে একজন বাংলাদেশি নিখোঁজ আছে।
তিনি বলেন, আজ মন্ত্রিসভা বৈঠকে মন্ত্রিসভার শুরুতে নিউ জিল্যান্ডে ৫ বাংলাদেশিসহ ৫০ জন নিহতের ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। এ ধরনের একটি জঘন্য হামলার ঘটনায় নিন্দা এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে। এছাড়াও এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে সমবেদনা জানানো হয়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে এই নৃশংস ঘটনায় পাঁচ জন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার জন্য সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। এ সময় দুই প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব সম্প্রদায়কে নিয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ (শুক্রবার) নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আল-নূর মসজিদ ও লিনউডের আরেকটি মসজিদে একজন বন্দুকধারী ঢুকে গুলি করে নামাজের প্রস্তুতিরত মুসল্লিদের গুলি করে হত্যা করে। নিউ জিল্যান্ডের ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস এই সন্ত্রাসী হামলায় ৫০ মুসল্লি নিহত এবং আরও ৫০ জন আহত হন। হামলাকারী ব্রেন্টন ট্যারান্টকে পরে পুলিশ গ্রেফতার করে। ২৮ বছর বয়সী এই অস্ট্রেলীয় নাগরিক স্বঘোষিত শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী, সে ওই হামলার দৃশ্য সরাসরি ফেসবুকে সম্প্রচারও করে। এই হামলার ১৫ মিনিট আগে সে নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে ই-মেইল করে হামলার জন্য যাচ্ছে বলেও জানায়। তার এই নৃশংস ভিডিও পরে সরিয়ে নিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
বার্তা বিভাগ প্রধান