‘বন্ধুদের কাছ থেকে পাঁচশ টাকা করে নিয়ে প্রেমিকা রুমানাকে তাদের হাতে তুলে দেয় জুবায়ের আহমেদ। তার বন্ধুরা সারারাত রুমানাকে ধর্ষণ করে। এর প্রতিবাদ করলে জুবায়েরসহ তার বন্ধুরা রুমানাকে গলা কেটে হত্যা করে রাতেই পালিয়ে যায়।’
শনিবার (৯ মার্চ) পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান হবিগঞ্জ পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুতুবুর রহমান চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জুবায়েরকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অপর তিনজনকে কয়েকদিন আগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুতুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘২০১৮ সালের ৪ আগস্ট বাহুবল উপজেলার রাজাপুর গ্রামের রুমানা আক্তারকে (২২) রাতের আঁধারে বিভিন্ন প্রলোভনে ঘর থেকে বের করে আনে একই গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে জুবায়ের আহমেদ। পরে জুবায়েরসহ তার বন্ধুরা রুমানাকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। এ সময় রুমানা প্রতিবাদ করলে জুবায়েরসহ তার বন্ধুরা রুমানাকে গলা কেটে হত্যা করে।’
পরদিন বাড়ির পাশের জমি থেকে রুমানার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ৬ আগস্ট রুমানার মা বানেছা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে বাহুবল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। গত বছরের ৪ ডিসেম্বর মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাতে হস্তান্তর করা হয়। মামলাটি তদন্ত করেন পিবিআই-এর পরিদর্শক মাইনুল ইসলাম। গত ৬ মার্চ বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট এলাকা থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে সাইফুর রহমানকে আটক করা হয়।
তার স্বীকারোক্তিতে একই দিন অপর সহযোগী মামুনুর রশিদকে রাজাপুর থেকে আটক করা হয়। এরপর আরেক সহযোগী একই গ্রামের আবু সাঈদকে আটক করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার মূলহোতা প্রেমিক জুবায়েরকে শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে একই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, ‘জুবায়ের ছাড়া অপর তিন অভিযুক্ত আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জুবায়েরের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে রাজাপুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে মামলার তদন্ত অফিসার পুলিশ পরিদর্শক মাইনুল ইসলাম ও মোক্তাদির আলম উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী সম্পাদক