নিউজিল্যান্ডের মাটিতে আরো একটি হোয়াইটওয়াশের মুখোমুখি বাংলাদেশ দল। তৃতীয় ওয়ানডেতে হারলে ব্যর্থতার ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি ঘটবে টাইগারদের। কাল ভোরে ডানেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল মাঠে নামবে কিউইদের বিপক্ষে। নেপিয়ার ও ক্রাস্টচার্চে প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে দল। ব্যাটিং-বোলিং ও ফিল্ডিং তিন বিভাগেই টাইগাররা দিয়েছে ভুলের খেসারত। আর শেষ ওয়ানডেতে আগের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে মাঠের লড়াইয়ের নামতে চান ওপেনার তামিম ইকবাল। তিনি বলেন, ‘দুই ম্যাচেই আমরা প্রথম ১০ ওভারে ওদের (নিউজিল্যান্ড) বেশি উইকেট দিয়েছি। সেটা আর করা যাবে না। এমন নয় যে, আমরা নিউজিল্যান্ডকে হারাইনি।
এই টিমকেই কিন্তু ইংল্যান্ডে বলেন আর আয়ারল্যান্ডে বলেন, হারিয়েছে। আমাদের প্রথম লক্ষ্যই এখন ভালো ক্রিকেট খেলা। যেটা গত দুই ম্যাচে হয়নি।’
আগের দুই ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো। দলের কোনো সিনিয়র ব্যাটসম্যানই অবদান রাখতে পারেননি। বিশেষ করে ওপেনাররা দলের ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি। তামিম দুই ইনিংসেই ৫ রানের বেশি করতে পারেননি। যদিও দেশ ছাড়ার আগে বিপিএলে ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। ফাইনালে হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরিও। ওয়ানডে শেষ হলে রয়েছে তিন ম্যাচের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সেখান থেকে দেশে ফিরে যেতে হবে আয়াল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সফরে। এরপরই বিশ্বকাপ।
তার আগে তামিমের রানে ফেরা জরুরি। দেশ সেরা ওপেনার সেটিও জানেন ভালো করে। তাই নিজের করা ভুলগুলো যেন না হয়, সেটিও জানান তিনি। তামিম বলেন, ‘এই ম্যাচে ওই ভুলগুলো করব না। কারণ, বিশ্বকাপের আর বেশি দিন নেই। তাছাড়া এখানে চার-পাঁচটা সফর করে ফেলেছি, ফলে এই কন্ডিশনে ভুলগুলো করতে চাই না।’
অন্যদিকে প্রথম ওয়ানডেতে ৭৫ রানে ৫ উইকেট হারালেও লড়াই করেছেন মোহাম্মদ মিঠুন। ফিফটি হাঁকিয়ে দলের মান রক্ষা করেছেন। পরের ম্যাচেও ৯০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান দলের হাল ধরেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ৪৩ রানের সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লেগে খোড়াতে শুরু করেন। যদিও তুলে নেন দ্বিতীয় ফিফটি। কিন্তু পড়েন ইনজুরিতে।
এই ম্যাচে মিঠুন খেলবে কি না তাও এখনো নিশ্চিত করে জানা যায়নি। তবে তার পরিবর্তে দলে মুমিনুল হককে ডাকার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে গতকাল পর্যন্ত বিসিবি এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তই জানায়নি। এছাড়া মুশফিকুর রহীমও আছেন ইনজুরিতে। সব মিলিয়ে এই ম্যাচে জয়ে ফেরার চ্যালেঞ্জ আরো বহু গুনে বাড়িয়ে দিয়েছে ইনজুরির হানা। তবে তামিম মনে করেন শুধু মিঠুন নির্ভরতা নয় জয়ে ফিরতে দায়িত্ব নিতে হবে দলের সকলকেই। তিনি বলেন, ‘সবারই দায়িত্ব নিতে হবে। দায়িত্ব এরকম থাকবে যে, ক্রিজে বেশি সময় থাকতে হবে এবং রান করতে হবে।
আমাদের দেখতে হবে প্রথম ১০ ওভারেই যেন খেলাটা ওদের হাতে দিয়ে না দিই। কারণ, প্রথম ১০ ওভারে দুই থেকে তিনটা উইকেট হারালে খেলায় ফিরে আসা খুবই কঠিন।’
ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে জিতলেই হতে পারে নিউজিল্যান্ডে হারের ইতিহাসে পরিবর্তন। তাই খেলতে হবে নিজেদের সেরাটাই। কন্ডিশনের চ্যালেঞ্জ থাকলেও সেটি মানিয়ে নিয়ে লড়াই করতে হবে দলকে। এ বিষয়ে দলের সেরা ওপেনার বলেন, প্রথম ওয়ানডেতে পিচ ব্যাটিং উপেযোগী ছিল। ব্যাটসম্যানরা পারেনি রান করতে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও একই ভুল, তবে বৃষ্টি আর আবহাওয়ার কারণে তারা (নিউজিল্যান্ড) সুবিধা পেয়েছে।
প্রতিনিধি