জাতিসংঘের উদ্দেশ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, অনেক হয়েছে, এবার অন্যদের সীমান্ত খুলতে বলুন। রোহিঙ্গা সংকটে মানবিক কারণে সীমান্ত খুলে দিয়ে বাংলাদেশ যে উদারতার পরিচয় দিয়েছে অন্য দেশগুলোকেও তা করার আহ্বান জানাচ্ছি।
অভ্যন্তরীণ সংকটে বাস্তুচ্যুত হয়ে সীমান্তে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার নাগরিকদের প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে প্রবেশের সুযোগ দিতে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা যে অনুরোধ জানিয়েছে তা নাকচ করে দিয়েছে ঢাকা।
ইউএনএইচসিআর-এর ওই অনুরোধের বিষয়ে জাতিসংঘে ১৯৩টি সদস্য দেশ রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে আমরা মনে করি, অনেক মানুষকে (রোহিঙ্গা) আশ্রয় দিয়েছি। তাই অন্য দেশগুলোকেও একইভাবে সহায়তার কথা বলতে পারি।
বাংলাদেশকে অন্যতম জনবহুল দেশ আখ্যায়িত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা-ইউএনএইচসিআর এক্ষেত্রে অন্য দেশগুলোকে বোঝাতে পারে। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ইউএনএইচসিআর গত ৮ই ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সহিংসতার শিকার হয়ে পালিয়ে আসা আরো রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাংলাদেশকে আহ্বান জানায়।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্টের পর মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ৭ লাখ ২০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাসহ প্রায় ১১ লাখ বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক এই মুহূর্তে বাংলাদেশে অস্থায়ী আশ্রয়ে রয়েছে।
বার্তা বিভাগ প্রধান