ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে গ্রামবাসী ও বিজিবির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় হরিপুর থানায় দুটি মামলা করেছে বিজিবি।
সরকারি কাজে বাধা এবং বিজিবির ওপর হামলার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে মামলা দুটি করেন বিজিবির নায়েক জিয়াউর রহমান।
মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ গ্রামের আরও অনেককে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
প্রসঙ্গত মঙ্গলবার হরিপুর সীমান্তে গরু জব্দকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর সঙ্গে বিজিবির সংঘর্ষ হয়। গরুর মালিকানা নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্যের একপর্যায়ে গুলিতে নিহত হয় তিন গ্রামবাসী।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বহরমপুর গ্রামের হুকুম হাজীর ছেলে হবিবর রহমান দুটি গরু এবং রুহিয়া গ্রামের নাজিম তিনটি গরু জাদুরানিহাটে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন।
ওই সময় বেতনা সীমান্ত ফাঁড়ির বিজিবি সদস্যরা গরুগুলো আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছিলেন। বৈধ কাগজ থাকা সত্ত্বেও কেন গরুগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা জানতে চাইলে আরিফ নামে বিজিবির এক সদস্য পেটে রাইফেলের নল ঠেকায়।
এ দৃশ্য দেখে গ্রামবাসী প্রতিবাদ করে। এ সময় বিজিবির সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করতে শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলেই নবাব ও সাদেক মারা যান।
চরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এরফান আলী বলেন, এলোপাতাড়ি গুলিতে ৫ম শ্রেণির ছাত্র জয়নুলের শরীর ঝাঁজরা হয়ে যায়। হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দাবি, ভারতীয় গরু জব্দ করায় সশস্ত্র চোরাকারবারিরা হামলা করলে তারা গুলি চালাতে বাধ্য হন।
প্রতিনিধি