সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার হোল্ডিং ট্যাক্স পুনর্মূল্যায়ন (জেনারেল রি-এ্যাসেসমেন্ট) কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সোমবার সকালে নগরীর ১৮ নং ওয়ার্ডের কুমারপাড়াস্থ মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বাড়ির পুনর্মূল্যায়ন ফরম গ্রহনের মধ্যদিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
সোমবার প্রথম দিনে সিটি কর্পোরেশনের ১, ২, ৪, ১৫, ১৭ ও ১৮ নং ওয়ার্ডে ৬টি টিমের সমম্বয়ে নতুন এবং পুরাতন বাসা-বাড়ির বিবরণ ও বানিজ্যিক ভবন, স্থাপনা, জমির পরিমাণসহ বিস্তারিত বিবরণ প্রেরণের জন্য রি-এ্যাসেসমেন্ট ফরম বিতরণ করা হচ্ছে। ফরম পাওয়ার পর তা পূরণপূর্বক ৭দিনের মধ্যে নগর ভবনের এ্যাসেসমেন্ট শাখায় জমা দিতে হবে।
এ কার্যক্রম পর্যাক্রমে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে চলবে। ফলে রাজস্ব বাড়বে সিটি কর্পোরেশনের। পাঁচ বছর অন্তর এ কার্যক্রম নির্ধারনের বিধান থাকলেও দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছরেও এ কার্যক্রমের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
মেয়র আরিফ বলেন, রি-অ্যাসেসমেন্ট কাজে সংশ্লিষ্টদের কোন অনিয়ম-গাফলতি বরদাস্ত করা হবে না। তিনি এ কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোন অনিয়মের অভিযোগ থাকলে সরাসরি তাকে জানানোর অনুরোধ করেন।
মেয়র বলেন, ‘হোল্ডিং ট্যাক্স মাফ করার কোন বিধান নেই। অতীতে যারা হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় না করে ভোটের রাজনীতির স্বার্থে সম্মানিত নাগরিকদের শুধু বকেয়া ঋণের বোঝা বাড়িয়েছেন, তারা সম্মানিত নাগরিকদের মারাত্মকভাবে ক্ষতি করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘এখন সেই ঋণ আদায় করতে নগরবাসীকে যেভাবে পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়, টিক সেইভাবে আমাকেও পড়তে হচ্ছে বিভ্রান্তিতে।’
সিসিক’র সচিব মোহাম্মদ বদরুল হক বলেন, ‘পুরনো এবং নতুন বাসা-বাড়ির ধার্য্যকৃত হোল্ডিং ট্যাক্সের সমতা ফিরিয়ে আনতে প্রায় ৫৫ হাজার হোল্ডিংধারীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহপূর্বক করধার্য্য কার্যক্রম চলবে ২৭টি ওয়ার্ডে।’
সিসিকের এসেসর চন্দন দাশ জানান, “রি-এ্যাসেসমেন্ট ফরম গ্রহনের সময় থেকে ৭ দিনের মধ্যে তা পূরণ করে জমা দিতে হবে। অন্যতায় বিধি অনুযায়ী একতরফাভাবে কর নির্ধারণ করা হবে”।
এসময় সিসিকের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-৩ এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জল, প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান সহ সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি