যুক্তরাষ্ট্রে রোববার এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে রাখাইনে জাতিগত নির্মূল অভিযানের দায়ে মিয়ানমারকে বয়কট করার ডাক দিয়েছেন বক্তারা।
নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আয়োজনে ওই সম্মেলনে রোহিঙ্গা নেতা, মানবাধিকার কর্মী, গণহত্যা বিশারদ ও জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাশিয়া ও চীনের বাধার কারণে রাখাইনে নির্বিচারে মোসলমানদের হত্যা, ধর্ষণসহ জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালানোর পরও মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় জাতিসংঘের নিন্দা জানান বক্তারা।
সম্মেলনে ধর্ষিত এক রোহিঙ্গা নারী বলেন, মিয়ানমারের বর্বর সেনাবাহিনী এবং উগ্রবাদী বৌদ্ধরা রাখাইনে মোসলমানদের তাড়াতে ধর্ষণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। রাখাইন থেকে মুসলিমদের তাড়ানোর পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এখন ক্যারেন, কাচিন ও শান রাজ্যে জাতিগত সংখ্যালঘুদের টার্গেট করেছে।
বর্বরতার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে মিয়ানমার সরকারকে বয়কট করার আহ্বান জানান বক্তারা।
ইউএস আর্মি ওয়ার কলেজের অধ্যাপক ও গবেষক আজিম ইব্রাহীম মিয়ানমারের জাতিগত শুদ্ধি অভিযান নিয়ে ‘দ্যা রোহিঙ্গা: ইনসাইড মিয়ানমারস হিডেন জেনোসাইড’ নামে একটি বই লিখেছেন।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালে তিনি যখন বইটি লেখেন তখন রোহিঙ্গাদের উপর চালানো মিয়ানমার সরকারের বর্বতা নিয়ে কোন বই ছিল না। সেখানে পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বছরের পর বছর ধরে নিরবে চলছে এ গণহত্যা।
কারণ নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে কেউ ভাবে না। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র, এমনকি প্রভাবশালী মুসলিম রাষ্ট্রগুলোও না। যুগান্তর
প্রতিনিধি