তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে শনিবার সকাল ১১ টায় “তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন” এর উদ্যোগে রংপুর প্রেসক্লাব চত্ত্বরে মানববন্ধন-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংগঠনের আহবায়ক পলাশ কান্তি নাগের সভাপতিত্বে সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট নদী গবেষক ড. তুহিন ওয়াদুদ, রংপুর সরকারী কলেজের অধ্যাপক চিনু কবির, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ওমর ফারুক, ইউনাইটেড কমিউনিষ্ট লীগের সংগঠক আশরাফুজ্জামান মতিন, নিপীড়ণ বিরোধী নারীমে র আহবায়ক নন্দিনী দাস, শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের সদস্য সবুজ রায়, শ্রমিক নেতা রেদোওয়ান আহমেদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ভারত কর্তৃক একতরফাভাবে তিস্তার পানি প্রত্যাহারের কারণে গোটা উত্তরাঞ্চল মরুভূমির দিকে ধাবিত হচ্ছে। তিস্তায় পানি না থাকায় কারণে কৃষি উৎপাদন চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। হাজার হাজার হেক্টর ফসলের জমি লুকিয়ে যাচ্ছে। হাজার হাজার মৎসজীবী ও মাঝিরা বেকার হয়ে পড়েছে। তিস্তা পাড়ের জীবন প্রকৃতি ধ্বংসের মুখে। নদীতে পানি প্রবাহ দুর্বল থাকায় বালুপড়ে নদীগর্ভ বালু দিয়ে ভরাট হচ্ছে। ফলে বর্ষাকালে নদীভাঙ্গন ও বন্যার কবলে পড়ে হাজার হাজার একর জমি নদী গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে, ফসল, ঘরবাড়ি, জনপদ ভেসে যাচ্ছে।
বক্তারা আরও বলেন, ভারত সরকার একতরফাভাবে তিস্তার পানি প্রত্যাহার করে আন্তর্জাতিক নদী আইন লংঘন করেছে। তারা আমাদের সাথে বৃহৎ রাষ্ট্রসুলভ আচরণ করছে, সাম্রাজ্যবাদী ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে। এই অবস্থা শুধু তিস্তার ক্ষেত্রেই নয় ভারত থেকে আসা ৫৪ টি নদীর পানি প্রবাহ তারা একইভাবে নিয়ন্ত্রণ কিংবা অন্যায়ভাবে প্রত্যাহার করছে।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে আজ পর্যন্ত সমস্ত শাসকশ্রেণীর দলগুলি যারা ক্ষমতায় ছিল কেউ বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থের কথা বিবেচনা করেনি। পানি সম্পদ রক্ষার কথাও চিন্তা করেনি। শুধু আশ্বাস নয়, আমরা তিস্তা চুক্তির বাস্তবায়ন চাই।
নির্বাহী সম্পাদক