ডেস্ক নিউজ : মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার সাবেক মাদ্রাসা শিক্ষক মো. আকমল আলী তালুকদারসহ (৭৬) চার জনের বিরুদ্ধে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় হবে যে কোনো দিন।
মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।
এ মামলায় আকমল আলী তালুকদার ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- আব্দুন নুর তালুকদার ওরফে লাল মিয়া (৬২), মো. আনিছ মিয়া (৭৬) ও মো. আব্দুল মোছাব্বির মিয়া (৬৪)। তাদের মধ্যে আকমল আলী তালুকদার ছাড়া বাকি তিনজন পলাতক রয়েছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, গুম, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মত মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে।
প্রসকিউশনের পক্ষে এ মামলায় যুক্তি উপস্থাপন করেন সৈয়দ হায়দার আলী। তার সঙ্গে ছিলেন শেখ মুশফিক কবীর ও সায়েদুল হক সুমন।
আর আসামি আকমলের পক্ষে আইনি লড়াইয়ে ছিলেন আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার। পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আবুল হাসান যুক্তি উপস্থাপন করেন।
গত বছরের ৭ মে অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল।
২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর এ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। ওই দিনই জেলার রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রাম থেকে আকমল আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।
আকমল আলী মৌলভীবাজার টাউন সিনিয়র কামিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ। ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ এ চারজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী সংস্থা। এর ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ তৈরি করে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে প্রসিকিউশন। ৩০ মে এ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়।
নির্বাহী সম্পাদক