Home » ডাঃ আকাশ : জীবন যুদ্ধে পরাজিত সৈনিক!

ডাঃ আকাশ : জীবন যুদ্ধে পরাজিত সৈনিক!

এম.আর. মাহামুদ :ডাঃ আকাশ জীবন যুদ্ধে একজন পরাজিত সৈনিক। তিনি একজন ডাক্তার হয়েও অবাধ্য স্ত্রীর কারণে আত্মহত্যা করে একটি নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যা পুরুষ কুলের জন্য বেদনাদায়ক ও কলঙ্কজনক অধ্যায় ছাড়া আর কিছু নয়। আকাশ ও মিতু দুজনই ডাক্তার। মা বাবা অনেক অর্থ ব্যয় করে দুজনকে ডাক্তার বানিয়েছেন। এক্ষেত্রে জনগনের অর্থও তাদের পিছনে ব্যয় হয়েছে। দেশবাসী আশা করেছিল তাদের কাছ থেকে উন্নত চিকিৎসা সেবা পাবে। কিন্তু সে আশায় দুজনই গুড়ে বালি দিয়েছে। হিন্দু শাস্ত্র মতে “স্ত্রীর চাইতে কুমির ভালো, বলেন সর্ব শাস্ত্রী, ধরিলে কুমির ছাড়ে, ছাড়েনা স্ত্রী” এ বানীর নির্মম বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি ডাঃ আকাশের আত্মহত্যা। তার প্রিয়তমা স্ত্রী ডাক্তার মিতুর পরকিয়া প্রেম অনৈতিক কর্মকান্ড থেকে শত চেষ্টা করেও সুপথে আনতে ব্যর্থ হয়েছে আকাশ। ফলে বাধ্য হয়ে আকাশ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে আত্মহত্যা মহাপাপ। তার অবাধ্য স্ত্রীকে ইসলামের শরিয়ত মোতাবেক বিচ্ছেদের পথ অনুসরণ করলে ডাঃ আকাশকে আত্মহত্যার দিকে যেতে হত না। আত্মহত্যা প্ররোচনার দায়ে তার অবাধ্য স্ত্রী মিতুকে পুলিশ গ্রেফ্তার করেছে। ইতিমধ্যে আদালত থেকে রিমান্ডও নিয়েছে। বিচার কি হয় বিজ্ঞ আদালতই জানে। ডাঃ আকাশের পরিবার মিতুসহ আরো কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে। কবি রুদ্র মোঃ শহীদুল্লাহর গানের দুটি কলি বার বার মনে পড়ে- “ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লেখো”। গানটি তিনি কেনো লিখেছিলেন আমি জানিনা। তবে রুদ্র মোঃ শহীদুল্লাহ্ এখন বেছে নেই। কিন্তু তার স্ত্রী ডাঃ তাসলিমা নাসরিন (যিনি জরায়ুর স্বাধীনতা চেয়েছিলেন); নির্বাসিত অবস্থায় ভারতে অবস্থান করছেন। আকাশ আত্মহত্যা করে পাপ করলেও নিজে রক্ষা পেয়েছেন। কিন্তু তার স্ত্রী মিতু গণধিকৃত হয়ে আইনী জটিলতায় বেচে থাকবেন। আকাশ ও মিতুর পরিবারকে এ ক্ষত চিহ্ন অনন্তকাল বহন করতে হবে। কথায় আছে- বড় প্রেম শুধু কাছে টানেনা, অনেক সময় আত্মহত্যার পথও দেখায়। যারই প্রমাণ ডাক্তার দম্পতি। এক্ষেত্রে ডাঃ আকাশকে ধোয়া তুলশি পাতা বলা যায় না। তার সাথে যখন বিপদগামী স্ত্রী মিতুর মিল মিশ হচ্ছেনা তখনই দুজনকে দু পথে চলে যাওয়া উত্তমই ছিল। যা ইসলামী শরিয়ত নির্ধারণ করে দিয়েছে। আকাশ হয়তো অবাধ্য স্ত্রীর পর্বত সমান দেন মোহরের ভয়ে সে পথ অনুসরণ করেনি। এখন বলতে হয় আকাশ কেন ডাক্তার মিতুকে ৩৫ লাখ টাকা কামিন দিয়ে বিয়ে করতে গেলো। আকাশ হয়তো জানতো তার প্রিয়তমা হবু স্ত্রী মিতু আগে থেকেই একাধিক ব্যক্তির সাথে প্রেম করতো, এসব মেনে নিয়েও মিতুকে অতি সুন্দরী হিসেবে বিয়ে করেছে। কথায় আছে যে বানর গাছে উঠা শিখেছে, সে বানর ক’ দিন বেধে রাখা যায়, সুযোগ পেলেই ওই বানর গাছে ওঠে বসবে। যা হওয়ার তাই হয়েছে। আকাশের মৃত্যুতে আমরা ব্যথিত। কারণ আমরা একজন দেশের যোগ্য ডাক্তার হারিয়েছি। মিতুদের মত অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত মেয়দের কারণে সমাজের বেশুমার পরিবার অতিষ্ঠ। প্রতিনিয়ত এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা ঘটনা ঘটছে। এক্ষেত্রে স্ত্রীরা টুঙ্কু যুক্তি নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে আশ্রয় নিতে পারলেও পুরুষরা কি পারছে! নারী নির্যাতনের পক্ষে আমি নই। নারীদের সুরক্ষায় আদালত উন্মোক্ত। কিন্তু পুরুষদের সুরক্ষায় কি কোন আইন আছে? এসব লিখে কোন প্রতিকার পাওয়া যাবে বলে আমি মনে করিনা। কারণ আমাদের মত ফাটা কেষ্ট এর কথা শোনার জন্য কেওই নেই। তবে সুন্দরী পরকিয়া প্রেমে আসক্ত নারী ডাক্তার মিতুর শাস্তি চাই। তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হলে ডাক্তার আকাশের মত সম্ভাবনামময়ী সন্তানদের আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে না। অপরদিকে যে সমস্ত কুলঙ্গার পর স্ত্রীর সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত থাকে তাদেরকেও আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হলে সমাজে ব্যবিভচার বন্ধ হবে। সব কথার শেষ কথা বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের কবিতার ভাষায় বলতে হয়- এ বিশ্বে যা কিছু চির কল্যানকর, যার অর্ধেক করেছে নারী আর অর্ধেক করেছে নর

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *