Home » সমস্যা ও সম্ভাবনার বাংলাদেশ রেলওয়ের ভেতর-বাহির

সমস্যা ও সম্ভাবনার বাংলাদেশ রেলওয়ের ভেতর-বাহির

রহিম আব্দুর রহিম :

১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ভারত বিভক্তির পর বেঙ্গল-আসাম রেলওয়ে ভারতের মধ্যে বিভক্ত ঘটে।পূর্ব বাংলা তথা পূর্ব পাকিস্তান উত্তরাধিকারী সুত্রে পায় ২,৬০৬.৫৯ কি.মি. রেল লাইন। যা ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে (ইবিআর) নামে পরিচিত। এই ইবিআরের আওতায় ৫০০ কি.মি. ব্রডগেজ এবং ২১০০ কি.মি. মিটার গেজ লাইন ছিল। বাংলাদেশ স্বাধীন রাস্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর এদেশের রেলওয়ের নাম পরিবর্তন হয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে নামধারণ করে। যা উত্তরাধিকার সূত্রে ২৮৫৮.৭৩ কি.মি. রেলপথে ৪৬৬ টি স্টেশন পায়। ১৯৮২ সালের ৩ জুন রেলওয়ে বোর্ড বিলুপ্ত হয়ে এর কার্যক্রম স্থানান্তরিত হয় যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ে এবং এই বিভাগের সচিবকে ডিরেক্টর জেনারেল পদে আসীন করে এই যোগাযোগটি চলতে থাকে। ১৯৯০ সালে বাংলাদেশের এই পরিবহন সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত রেলপথ মন্ত্রনালয়ের অধীনে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট বাংলাদেশের রেলওয়ের নীতিগত পরামর্শ দানের জন্য ৯ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ রেলওয়ে অথরিটি(বিআরএ) গঠন করা হয়। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু সেতু উন্মুক্তকরণের ফলে জামতৈল থেকে ইব্রাহীমবাদ ব্রডগেজ রেলপথের মাধ্যমে পূর্ব পশ্চিম রেলযোগাযোগ শুরু হয়। সর্বশেষ ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর ফলে ঢাকা-কোলকাতার মধ্যে সরাসরি রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়।২০১১ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বরে তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ভেঙ্গে নতুন রেলপথ মন্ত্রনালয় গঠন করেন। এই মন্ত্রনালয়ের প্রথম মন্ত্রী প্রয়াত সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, দ্বিতীয়বারের মত মন্ত্রীত্ব পান মুজিবুল হক। বর্তমানে সদ্য দায়িত্ব পেয়েছেন এ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন, এমপি। বর্তমান রেলপথের দৈর্ঘ্য ৪৪৮৩ কিলোমিটার। স্টেশন ও জংশন রয়েছে ৪৫৮টি (২০১৬ খ্রি. তথ্যানুযায়ী)।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সবচেয়ে বড় পরিবহন সংস্থা ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে’। এই সংস্থাটি দুইটি অংশে বিভক্ত হয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এর একটি যমুনা নদীর পূর্বপার্শ্বের পূর্বাঞ্চল এবং যমুনা নদীর পশ্চিম অংশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল হিসেবে পরিচালিত। এই দুই অঞ্চলের রেলওয়ের ৪টি বিভাগ রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা’র কমলাপুর, চট্টগ্রামেরপাহাড়তলী,পাবনার পাকশি এবং লালমনিরহাট। ৪টি বিভাগ পরিচালিত হয় ৪জন বিভাগীয় ম্যানেজার দ্বারা। একমাত্র বর্তমান সরকার ব্যতিত বৃহৎ সংস্থাটির সংস্কারে কোন সরকারই আন্তরিক হয়নি। বর্তমান সরকার রেলওয়ে পরিবহনটিকে সংস্কার ও উন্নয়নে নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। বহুপুরোনো বিশ্বখ্যাত যোগাযোগ সংস্থাটির ছোটখাট অসংখ্য দুর্নীতি, অনিয়ম, অসঙ্গতি, সুষ্ঠু পরিকল্পনা, দেখভালে এবং জবাবদিহিতায় স্বচ্ছতা না থাকায় সংস্থাটি একপা এগুচ্ছে তো দু’পা পিছাচ্ছিল। যোগাযোগ ক্ষেত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং লাভজনক রেলওয়ের ডিপার্টমেন্ট দুইভাগে বিভক্ত। এর একটি ট্রাফিক ও অন্যটি বাণিজ্যিক। এ দুইটি বিভাগই পরিচালিত হয় আলাদা আলাদা একজন চীফ অফিসার এবং বিভাগীয় কর্মকর্তা দ্বারা।

ট্রাফিক বিভাগের পরিবহন শাখায় ট্রেন পরিচালনা সম্পর্কিত কার্যাবলী সম্পাদন করতে কাজ করেন ,- স্টেশন মাস্টার, ট্রেন পরিচালক (গার্ড), ট্রেন কন্ট্রোলার, ট্রেন নাম্বার টেকার, ইয়ার্ড মাস্টার, পয়েন্টসম্যান, গেটম্যানসহ অন্যান্য কর্মচারীরা।

ট্রাফিক বিভাগের প্রধান সমস্যা লোকবল সংকট, একই সাথে রয়েছে সীমাহীন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা। গুরুত্বপূর্ণ এ বিভাগের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার জন্য সরকারকে বদনাম এর অংশীদার হতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার সাথে সাথেই জনবল সংকট নিরসন জরুরী। বর্তমানে বাংলাদেশে ৪৫৮ স্টেশন রয়েছে। অথচ প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্টেশন মাস্টার না থাকায় ট্রেন চলাচলে ব্যাপক বিঘœ ঘটছে।

রেল সার্ভিসের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে ট্রেন পরিচালক (গার্ড), একটি আন্তনগর ট্রেনে ২জন গার্ড দায়িত্ব পালন করার পরিবর্তে ১জন দায়িত্ব পালন করছে। তাতে যাত্রীসেবা যথাযথ হচ্ছে না। গুরুত্বপূর্ণ এই পদের লোকবল সংকট চরমে। সরকার সংকট কাটানোর জন্য সাময়িকভাবে চুক্তিভিত্তিক যে নিয়োগ দিচ্ছে তাতে সমস্যা বেড়েই চলছে। কারণ যাদেরকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে তারা বয়স্ক এবং শারীরিকভাবে অক্ষম, ফলে যথাযথ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে।

ট্রেন কন্ট্রোলার নামের পদস্থদের দায়িত্ব ট্রেন গন্তব্যস্থলে পৌছা পর্যন্ত বিভাগীয় কন্ট্রোলার অফিসের মাধ্যমে মনিটরিং করে থাকেন। এই শাখাতেও লোকবল সংকট প্রকট, যারা রয়েছেন তাদের দায়িত্ব অবহেলা, জবাবদিহিতার অভাবে ট্রেন চলাচল কচ্ছপগতিতে পৌঁছেছে। এছাড়া ইয়ার্ড মাস্টার পয়েন্টম্যানসহ অফিস সহকারীদের নজরদারিতে না আনায় এই বিভাগটির অনিয়মই নিয়মে পরিণত হয়েছে।

রেলওয়ে বিভাগের বাণিজ্যিক শাখায় রয়েছে টিটিই, বুকিং সহকারী, মেকানিক্যাল, লোকসেড, কারখানা, ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রণকর, বিদ্যুৎ বিভাগ, সংস্থাপন, মেডিকেল, ভূ-সম্পত্তি এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী। কিন্তু প্রতিটি শাখাই অনিয়ম, অব্যবস্থাপনায় জর্জড়িত।

রেলের জামাই নামে খ্যাত টিটিই (ট্রাভেলিং টিকেট এক্সজামিনার) তাদের কোন জবাবদিহিতা না থাকায় অবাধে অনিয়ম, দুর্নীতি করে যাচ্ছে। এরা একটি ট্রেনে উঠে দুই একটা স্টেশন পার হলে নেমে যায়। রেলওয়ে আইনের ৫০৯ ও ৫১০ ধারানুযায়ী রানিং এলাউন্স এবং স্পেশাল রানিং এলাউন্স একমাত্র লোকমাস্টার (ড্রাইভার) ও ট্রেন পরিচালক (গার্ড) ছাড়া অন্য কোন কর্মকর্তাদের বেতনের সাথে পাওয়ার কথা না। অথচ এই টিটিই’রা রেলওয়ের আইনের ভুল ব্যাখ্যা প্রতিষ্ঠিত করে এই এলাউন্স উত্তোলন করছে। এতে করে সংস্থাটির প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা লোকশান গুনতে হচ্ছে। রেলওয়ের বুকিং সহকারির দায়িত্ব অপরিসিম। কিন্তু এরা জনসাধারণের সাথে অবাধে মেলামেশার সুবাদে টিকেট কালোবাজারিতে ষোলকলা পূর্ণ করছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে ২০১২ সালে ই-টিকেট সিস্টেম চালু করে। ই-টিকেট সেবা জনগনের মধ্যে নিশ্চিত করার জন্য ৫ বছরের জন্য একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয়া হয়। যা সিএনএস নামে পরিচিত। একটি ট্রেনের আসন সংখ্যার বিপরীতে শুরুর দিন ৫০% টিকেট কাউন্টারে এবং অনলাইনে ২৫% টিকেট দেওয়ার কথা থাকলেও গড়ে সাধারণ কাউন্টারে ১০ থেকে ১৫% টিকেট ছাড়া হয়, বাকিগুলো ব্লক করে সিএনএস এর কর্মচারীরা রেলওয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে অবাধে টিকেট কালোবাজারি চালিয়ে যাচ্ছে। এই ভয়াবহ দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে টোটাল টিকেট সিস্টেম প্রত্যেক রেলওয়ে বিভাগের একজন কর্মকর্তার অধীনে দেয়া যেতে পারে। এতে অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের টিকেটের প্রয়োজন হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই কর্মকর্তার কাছ থেকে ডিজিটাল কম্পিউটারাইজড সিস্টেমের মাধ্যমে টিকেট সংগ্রহ করা যেতে পারে।

রেলওয়ের মেকানিক্যাল বিভাগের দুটি শাখা। এই দুইটি শাখা দেখভাল করেন এই বিভাগের একজন এডিজি, চীফ এবং বিভাগীয় কর্মকর্তা। রেলইঞ্জিন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা লোকসেডে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই। এই বিভাগের কারখানা শাখা বাংলাদেশে মাত্র দুইটি। একটি সৈয়দপুরে অন্যটি পাহাড়তলি। অথচ এই শাখায় কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলা, স্বেচ্ছাচারিতা এমন পর্যায়ে ঠেকেছে যে, বিভিন্ন ট্রের্ড ইউনিয়নের পরিচয়ে তারা দিনের পর দিন কাজ না করেই সরকারি অর্থ লুটপাট করছে। প্রতি ঈদে কারখানার কর্মকর্তারা বগি রিপিয়ারিং বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ করে রাষ্ট্রীয় অর্থ লুটপাট করছে। এই শাখাটি ঢেলে সাজাতে না পারলে রেলযোগের মৌলিক উন্নয়নে চরম ব্যাঘাত ঘটবে।

রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ এই বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দুর্নীতি, অনিয়মের ফলে রেলওয়ের সু’দিনকে চরম দুর্দিনে পৌঁছে দিয়েছে। ঠিকাদারদের সাথে যোগ সাজসে এই বিভাগের কর্মকর্তারা এমন কোন হীন কাজ নাই যে, তারা করছে না। নি¤œ মানের কাজ করাই তাদের এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।

রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রনকর এই বিভাগটি বাংলাদেশে রেলওয়ের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ক্রয়ে কাজ করে থাকে। রেলওয়ে বিভাগের দুর্নীতির আখড়া বলে পরিচিত এই বিভাগের কর্মকর্তারা প্রায়ই কমমূল্যের জিনিস অধিকমূল্যে এবং পর্যাপ্ত মালামাল থাকা সত্ত্বেও অপ্রয়োজনীয়ভাবে চাহিদা প্রেরণ করে ঠিকাদারদের সাথে আঁতাত করে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করছে।

রেলওয়ের বিদ্যুৎ বিভাগে অবৈধ সংযোগের মহা উৎসব চলছে সংস্থার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই । এক্ষেত্রে প্রিপেইড মিটার স্থাপন এবং অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ উচ্ছেদ করা গেলে রেলওয়ের কোটি কোটি টাকা আয় হওয়া সম্ভব। রেলওয়ের বিদ্যুৎ বিভাগকে রাষ্ট্রীয় সার্থে জবাবদিহিতার আওতায় আনা এখন সময়ের দাবী।

রেলওয়ের সংস্থাপন শাখাটি আর সংশ্লিষ্টদের সেবায় নিয়োজিত নয়। অফিস সহকারী থেকে প্রধান অফিস সহকারি পর্যন্ত যেতে গুনতে হয় টাকা। শুধু তাই নয় , রেলওয়ে কর্মচারীদের সামান্য পাশ ইস্যু করতে টাকা দিতে হয় বড় বাবুদের। এই বিভাগ ডিজিটালাইজড করা গেলে এ ধরণের দুর্নীতি বন্ধ হতে পারে বলে ভূক্তভোগীরা মনে করছে।

রেলওয়ের মেডিকেল শাখাটি নড়েবড়ে। হাসপাতাল আছে ডাক্তার নেই, ঔষধতো আকাশের চাঁদ। কর্মচারী খুঁজে পাওয়াও দু:স্কর। অথচ প্রতি বছর হাসপাতালের সার্বিক ব্যয়ভার বহনে সংস্থাটিকে কোটি কোটি টাকা গচ্ছা দিতে হচ্ছে।

রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনী বিভাগটির অবস্থা আরও শোচনীয়। এই বিভাগটি অনিয়ম, দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। নিজ বাহিনীর কর্মচারীদের ছুটি নিতেও দিতে হয় উৎকোচ। ট্রেনে ডিউটি করলে তাদের টিএবিল হয়। একটি কমান্ড সার্টিফিকেটে ৫জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য বুক দেয়া হলেও ডিউটি করে দুই জন। বাকী ৩জন থেকে টিএবিল এর অর্ধেক টাকা নিয়ে তাদের ইচ্ছা মাফিক সুযোগ নিশ্চিত করে শাখার উর্ধ্বতনরা। নিরাপত্তার নামে রেলওয়ের অর্থ হরিলুটের এই নায়করা সেই প্রবাদের মত ‘‘রক্ষক যেখানে ভক্ষক’’ এর ভূমিকায়।

রেলওয়ের পর্যাপ্ত ভূ-সম্পত্তি থাকলেও তা রেল বিভাগের হাতছাড়া হয়েছে অনেক আগেই। যা দখলদাররা দখল করে রাখছে। বর্তমান সরকারের চিন্তা ও চেতনা যেহেতু রেলওয়ের উন্নয়নের দিকে সেক্ষেত্রে বিশাল ভূ-সম্পত্তির মালিক রেলওয়ে বিভাগের সকল সম্পত্তি দখলদার মুক্ত করে এ সমস্ত জায়গা জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ করে মার্কেট, আবাসিক ভবন, ব্যাংক ও বীমা এবং বেসরকারি অফিস আদালতের জন্য ভাড়া দেয়া যায়, তবে প্রতি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যে আয় আসবে তা দিয়ে গোটা সংস্থার ব্যয় নির্বাহ সম্ভব বলে অনেকেই মনে করছে।

রেলওয়ে বিভাগের অনেক সচিব, প্রকৌশলীরা রেলওয়েকে সাজাতে এবং একে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে আন্তরিক হয়েছেন, হয়ে থাকেন। রেলওয়ে বিভাগের সচিব, প্রকৌশলীরা ঘনঘন বদলী হন। থেকে যায় (পিএ) অথবা প্রধান সহকারিরা। যারা উর্ধতন কর্মকর্তাদের ভালমন্দ বুঝিয়ে দুর্নীতি, অনিয়ম, জিয়িয়ে রেখেছে। এই সমস্ত কর্মচারীদের ঘনঘন বদলী করলেই এই বিভাগের স্বচ্ছতা ফিরে আসবে বলে অনেকেই মনে করছে। বাংলাদেশ সরকারের বিশাল পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ রেলওয়েকে সবচেয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে একটি গবেষণাধর্মী দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়িত করা এখন সময়ের দাবী। #

রহিম আব্দুর রহিম

লেখক, শিক্ষক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট

মোবাইল: ০১৭১৪২৫৪০৬৬

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *