Home » মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে গেলেন ১৯ কোটি ডলারও!

মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে গেলেন ১৯ কোটি ডলারও!

ক্রিপ্টোকারেন্সিকে প্রায়ই বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। সম্প্রতি কানাডায় এই ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে এক ঝুঁকিপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে।

কানাডার সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ কোয়াড্রিগারের পাসওয়ার্ড না জানায় বিনিয়োগকারীরা তাদের প্রায় ১৯ কোটি ডলার হারাতে বসেছেন। যার মধ্যে পাঁচ কোটি ডলারই নগদ অর্থ।

প্রতিষ্ঠানটির মতে, পাসওয়ার্ডটি শুধু কোয়াড্রিগারের প্রতিষ্ঠাতা জেরাল্ড কটেন জানতেন। তিনি সম্পূর্ণ একার দায়িত্বে সব তহবিল ও মুদ্রা পরিচালনার কাজ করতেন।

৩০ বছর বয়সী কটেন গত ডিসেম্বরে ভারতে থাকাকালীন হঠাৎ মারা যান।

তার মৃত্যু সম্পর্কে কোম্পানির ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইটে বলা হয়েছিল, ভারতের জয়পুরের একটি দাতব্য ভ্রমণের সময় মারা যান। সেখানে দরিদ্র শিশুদের নিরাপদ আশ্রয় দিতে একটি অনাথ আশ্রম চালু করেছিলেন তিনি।

আর সেই ভ্রমণেই তিনি ক্রোন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

সংবাদমাধ্যম গ্লোব অ্যান্ড মেইলের প্রতিবেদনে জানানো হয়, মৃত্যুর আগে গত ২৭ নভেম্বর তিনি একটি উইলে স্বাক্ষর করেছিলেন।

সেখানে তিনি তার স্ত্রীকে তার সম্পত্তির নির্বাহক বানিয়েছেন।

ওই উইলে তাদের দুটি কুকুরের যত্ন নেয়ার জন্য প্রায় ৭৬ হাজার ডলার সংরক্ষণ করার নির্দেশাবলি থাকলেও কটেনের মৃত্যুর পর তার কোয়াড্রিগার তহবিল পুনরুদ্ধারের কোনো বিবরণ নেই।

গত ৩১ জানুয়ারি নোভা স্কটিয়া সুপ্রিমকোর্টের সামনে কোয়াড্রিগার জানায়, তারা ওই তহবিল শনাক্ত করতে পারছেন না।

কটেনের স্ত্রী জেনিফার রবার্টসন জানান, তার প্রয়াত স্বামী যে ল্যাপটপে প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক কাজ করতেন সেটি এনক্রিপ্ট করা এবং তিনি সেই ল্যাপটপে প্রবেশের কোনো পাসওয়ার্ড বা তথ্য পুনরুদ্ধারের কোনো উপায় জানেন না।

এখন পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, বিনিয়োগ করা অর্থ পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা খুবই কম।

এদিকে কোয়াড্রিগা ঘোষণা করেছে, তাদের তথ্য পুনরুদ্ধার করা যাবে কিনা তা খতিয়ে দেখতে একজন তদন্তকারীকে নিয়োগ করা হয়েছে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *