Home » প্রতারনা করে সুলেমান মালয়েশিয়ায় শ্রমিকদের ২ লাখ রিংগিত আত্মসাত

প্রতারনা করে সুলেমান মালয়েশিয়ায় শ্রমিকদের ২ লাখ রিংগিত আত্মসাত

মালয়েশিয়া প্রতিনিধি: প্রতারনার মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় ভুমি টুঙ্গাল গ্রুপ অব কোম্পানির ২ লক্ষ রিংগিত (৪০ লক্ষ টাকা) আত্মসাতের অভিযোগ করেন কোম্পানির মালিক ও ভুক্তভোগীরা।

বুধবার ৫৫ নং, জালান ১০/১৫২, টামান পারইনডাসট্রিয়ান ওইউজি, জালান পুচং অফ জালান কেলাং লামা, কুয়ালালামপুর কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে প্রতারক সুলেমানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক সিতি আয়শা, ব্যবস্থাপক মো: মিজানুর রহমান সরকার এবং ভুক্তভোগীরা।

সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানির ব্যবস্থাপক মো: মিজানুর রহমান সরকার বলেন মার্চ – ২০১৬ থেকে জানুয়ারী – ২০১৮ পর্যন্ত এই সুলেমান অবৈধ লোক বৈধ করার ভিসা ও ভিসা নবায়নের রিংগিত সংগ্রহের দায়িত্বে ছিল।যখন আমরা সকল হিসাব চুড়ান্ত করতে যাই তখন রিংগিত জমা দেওয়ার রিসিট বই পর্যবেক্ষন করে দেখতে পাই, মালয়েশিয়া ২ লক্ষ্ রিঙ্গিত এর অধিক রিংগিত সুলেমান অফিসে জমা দেয়নি। এমতবস্থায় আমরা সুলেমানের উপর চাপ প্রয়োগ করি রিংগিতের ব্যাপারে সমাধানের জন্য।

এক পর্যায়ে সে আশ্বাস দেয় শ্রমিকের সব টাকা সে দিয়ে দিবে। হঠাৎ একদিন জরুরি কাজ দেখিয়ে গত ৩১-০১-২০১৮ বাংলাদেশে চলে যায়। কোম্পানিকে আশ্বস্ত করে মালয়েশিয়া ফিরে এসে শ্রমিকের রিঙ্গিতের সমাধান করে দিবে। বেশ কয়েক দিন যাওয়ার পর আমরা তার সাথে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। এই দিকে সুলেমানের পারমিটের মেয়াদ ও শেষ হয়ে গেছে। তাই কোনো উপায়ান্ত না পেয়ে মালয়েশিয়াতে (থানার নাম: ট্রেভারস, রিপোর্ট নং: Petaling/001539/19) পুলিশ রিপোর্ট করি ।বাংলাদেশ হাইকমিশনে সেই পুলিশ রিপোট কপির জমা দেই এবং সুলেমানের এই অপকর্ম হাইকমিশনকে জানিয়ে একটি দরখাস্তও জমা দেই।

তিনি আরও বলেন এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করে আইনি সহায়তায় সুলেমানের কাছ থেকে  ২ লক্ষ রিঙ্গিত উদ্ধারে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। আর বাংলাদেশের ভাবমূতি নষ্ট হয় এই ধরনের ঘটনা যেন আর কোন বাংলাদেশী করার সাহস না সুলেমানের বিচারের মাধ্যমে যেন সেই দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আসা দি নিউজ এর মালয়েশিয়া প্রতিনিধি সওকত হোসেন জনী ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অনেক অভিযোগ শুনেন।  নাম: আশরাফুল আলম, জেলা: সিরাজগঞ্জ তিনি জানান সুলেমান তার কাছ থেকে পারমিটের কথা বলে ৫০০০ রিংগিত (১ লাখ টাকা) নিয়ে সে টাকা কোম্পানিতে জমা দেয়নি। এভাবে প্রায় দেড়শ এর বেশি শ্রমিকদের কাছ থেকে সুলেমান কখনও মেডিকেলের কথা বলে কখনও পারমিট রিনিউ এর কথা বলে প্রতারনা করে রিংগিত আদায় করে। রিংগিত আত্মসাতের ব্যাপারে মো: জাকির হোসেন, জেলা: কুমিল্লা সুলেমানেরই এক ভায়রা ভাই জানান তার কাছ থেকেও ৫০ হাজার টাকা আদায় করে সুলেমান।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *