সিলেট জেলার বালাগঞ্জ থানার গতবছরের ২২ নভেম্বর ষষ্ঠ শ্রেণীর ১৪ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে গনধর্ষন মামলার মূল ২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯।
র্যাব সুত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে হবিগঞ্জ জেলার মীরপুর বাজার থেকে ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত আসামী বশির ও সুমুদ্দিনকে আটক করে র্যাব-৯।
জানা যায়, উপজেলার দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের শিওরখাল গ্রামের
১৪ বছর বয়সী ধর্ষিতা ওই কিশোরী স্থানীয় একটি মাদরাসায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে লেখাপড়া করতো । গত ২২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ওই কিশোরী প্রয়োজনীয় কাজে বসত ঘরের বাইরে বের হয়।
পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা প্রতিবেশি কয়েকজন বখাটে তাকে জোর করে ধরে বাড়ির পরিত্যক্ত একটি গোয়াল ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মুখ বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় তারা। বাড়ির লোকজন মেয়েটিকে খোঁজাখুঁজি করে একপর্যায়ে বাড়ির গোয়াল ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় অচেতন হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন।
এসময় বাড়ির লোকজনের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।
পরদিন শুক্রবার ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে বালাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং- ৮। মামলায় আব্দুল আহাদ ও আযইসহ অজ্ঞাত আরও ৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। আব্দুল আহাদ ও আযই এই দুজনকে বালাগঞ্জ পুলিশ আগেই গ্রেফতার করেছিলো।
এই মামলার মূল আসামীদের মধ্যে দুইজন ছিলেন র্যাবের খাঁচায় আটকা পড়া বশির ও সুমুদ্দিন
প্রতিনিধি