দেশের ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ২০১৯ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। এ পরীক্ষা চলবে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকার, শিক্ষাবোর্ড,
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর তৎপরতায় প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা ফাঁসের গুঞ্জন ছাড়াই শুরু হলো এবারের এসএসসি পরীক্ষা। এই ধারাবাহিকতায় একদিকে যেমন উপকৃত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা, অন্যদিকে শিক্ষার মান নিশ্চিত হবে বলে মনে করছেন অভিভাবকসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে সরকারের প্রশংসা করে অভিভাবকরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, বর্তমান সরকারের আমলে জোর প্রচেষ্টার ফলে বোর্ড পরীক্ষাগুলোতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মত ভয়াবহ ব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এটি সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।
এ বিষয়ে একজন এসএসসি পরীক্ষার্থীর অভিভাবক সালেহ আহমেদ বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে শিক্ষায় যে নেতিবাচক রেখার সূচনা হয়েছিলো তা সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কঠোর হস্তক্ষেপের কারণে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমরা অভিভাবকরা সত্যিই কৃতজ্ঞ।
২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় সারা দেশে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ৭০ হাজার ৪৪১ জন এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯২ জন।
২০১৮ সালের তুলনায় এ বছর এক লাখ ৩ হাজার ৪৩৪ জন শিক্ষার্থী বেশি পরীক্ষা দেবেন। এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা বেড়েছে ৪৭ হাজার ২২৯ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা বেড়েছে ৫৬ হাজার ২০৫ জন।
এবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ লাখ ১০২ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ৩ লাখ ১০ হাজার ১৭২ জন এবং কারিগরি ভোকেশনাল ১ লাখ ২৫ হাজার ৫৯ জন রয়েছে। মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৯৭ এবং প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৮ হাজার ৬৮২টি। এছাড়া, বিদেশি আটটি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৪৩৪ জন্য পরীক্ষার্থী রয়েছে।
প্রতিনিধি