বারের বিপিএলে কাগজে কলমে চিটাগং ভাইকিংসের চাইতে বেশ এগিয়ে ঢাকা ডায়নামাইটস। কাইরন পোলার্ড, সুনিল নারাইন, আন্দ্রে রাসেল, হযরতউল্লাহ জাজাইয়ের মতো বিগ হিটাররা দলে আছেন। এ ছাড়াও সাকিব আল হাসানের মতো বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার আছেন দলের নেতৃত্বে। কিন্তু তারপরেও নামের সুবিচার করতে দেখা যায়নি দলটিকে।
টুর্নামেন্টে উড়ন্ত শুরু করা দলটির পারফরমেন্স গ্রাফ হঠাৎ করেই এতটা নিম্নমুখী হয়ে উঠেছিল যে, প্লে-অফ নিশ্চিত করতেই বেগ পেতে হয়েছে দলটিকে। অথচ ঢাকার চাইতে যোজন যোজন পিছিয়ে থেকেও চমকে দিয়েছে চিটাগং ভাইকিংস। বলার মতো বড় কোনো নাম এখানে নেই। রবি ফ্রাইলিঙ্ক, মোহাম্মদ শাহজাদ, ক্যামেরুন দেলপোর্টের মতো মধ্যমানের বিদেশি এবং মুশফিকুর রহীম, ইয়াসির আলী ও আবু জায়েদ রাহির মতো দেশি ক্রিকেটারদের উপস্থিতি।
তবুও ঢাকার আগেই প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে বন্দর নগরীর দলটি। লীগপর্বে ১২ ম্যাচে ৬ জয় ও ৬ হারে টেবিলের ৪ নাম্বারে ঢাকা। সমান সংখ্যক ম্যাচে ৭ জয়ে টেবিলের তিনে চিটাগং। বলা বাহুল্য ঢাকার এই ৬ হারের দুটিই ভাইকিংসদের বিপক্ষে। আজ দিনের প্রথম ম্যাচ এলিমেনেটরে মুখোমুখি এ দুই দল।
হারলেই বিদায়, জিতলেও ফাইনাল নিশ্চিত নয়।
এমন ম্যাচের আগের স্বস্তি চিটাগং পেসার খালেদ আহমেদের। কেননা এলিমিনেটর ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ সেই চেনা শত্রু। যাদের সঙ্গে দু-দুটি লড়াইয়ে জয়ের সুখস্মৃতি এখনো তরতাজা। খালেদ বলেন, ‘ঢাকা বড় দল। বড় দল হলেও সমস্যা নেই। শেষ দুইটা ম্যাচ ওদেরকে আমরা হারিয়েছি। এখানেও চাইবো যে এই ম্যাচেও ভালো ক্রিকেট খেলে জিতবো।’
তবে ঢাকার কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেয়েছেন খুলনা টাইটান্সকে হারিয়ে। তার বিশ্বাস শিষ্যরা হারানো মুমেনটাম খুপে পেয়েছে। যা আজ কাজে দেবে। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে একটি বিষয়ে দুঃশ্চিন্তা আজ চিটাগং ভাইকিংসের। সেটা হিটার নিয়ে। যেহেতু ঢাকার হিটারের লিস্ট বেশ বড়। নক আউট ম্যাচ। হেরে গেলেই বিদায় ঘণ্টা।
‘আসলে আমাদের দলে বিগ হিটার তেমন নাই। ওদের টিমে বিগ হিটার আছে। এখানে আমরা একটু পিছিয়ে আছি যে বিগ হিটার কম। ওদের টিমে বিগ হিটার বেশি। ওদেরই মানে হিটিং করার জোনটা বেশি থাকবে। আমাদের হিটিং করার জোন কম’-বলেন এই পেসার। তবুও জয়ের বিকল্প ভাবতেই চাইছেন না খালেদ। ‘শেষ দুই ম্যাচ যেমন খেলেছি, চাইবো এর থেকেও ভালো ক্রিকেট খেলে এই ম্যাচটা জিতবো।’
প্রতিনিধি