লীগ পর্বের শেষ ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে উড়িয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রংপুর রাইডার্স। সমান পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় দল এখন ইমরুল কায়েসের ভিক্টোরিয়ান্স। গতকাল কুমিল্লা টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৭২ রানেই গুটিয়ে যায়। জবাব দিতে নেমে দলের ৯ রানের সময় ওপেনার মেহেদী মারুফ ৫ রান করে আউট হলে ধারণা করা হচ্ছিল জমে উঠবে লড়াই।
কিন্তু ক্রিস গেইল ও এবি ডি ভিলিয়ার্স দলকে ৯ উইকেটের জয় এনে দিয়ে মাঠ ছাড়েন। এটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ক্রিকেটার ডি ভিলিয়ার্সের রংপুরের হয়ে শেষ ম্যাচ। কারণ নতুন ভাবে দলটির সঙ্গে চুক্তি না হলে তাকে আর প্লে অফে দেখা যাবে না। এ ছাড়াও রংপুরের হয়ে এই ম্যাচে অভিষেক হয় ১৭ বছর বয়সী স্পিনার মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদির।
২.৩ ওভার বল করে মাত্র ৮ রান খরচ করে এই খুদে স্পিনার নেন ১ উইকেট। বড় জয় দিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েও রাইডার্স অধিনায়কের মনে ভয়। কারণ এই কুমিল্লার মুখোমুখি হতে হবে তাদের প্লে অফ পর্বে। গতকাল জয় শেষে মাশরাফি বলেন, ‘এটা সত্যি আমরা কুমিল্লার বিপক্ষে বড় জয় পেয়েছি। সেটা মনোবল বাড়ানোর দারুণ খোরাক হবে হয়তো। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটা হচ্ছে ৪ঠা জানুয়ারি। সেখানে কি হয় সেটাই দেখার বিষয়। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সঙ্গে দুটি ম্যাচের ফল যতই একপেশে হোক, কুমিল্লা যথেষ্ট শক্তিশালী দল। কাজেই আমার মনে হয়, কোয়ালিফায়ার-১ এ শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।’
এই ভয়ের কারণও আছে। কারণ এরই মধ্যে দলের অন্যতম বিদেশি দুই তারকা দেশে ফিরে যাচ্ছেন। অ্যালেক্স হেলস ইনজুরির কারণে চলে গেছেন। আর ভিলিয়ার্স তার চুক্তি অনুসারে ৬ ম্যাচ শেষ করেছেন। তাই অধিনায়ক মাশরাফির প্রত্যাশা ও চাওয়া দেশিদের কাছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিদেশি গেইল, রুশো, হেলস এবং এবি ডি ভিলিয়ার্স দলের শক্তির ভারসাম্য রক্ষা করেছেন এখনো পর্যন্ত। কিন্তু সামনে আমরা দু’জনকে অর্থাৎ হেলস আর এবি ডি ভিলিয়ার্সকে পাবো না এবং নতুন কোনো বিকল্প খেলোয়াড়ের কথাও আমরা ভাবছি না। তাই নক আউটের পর্ব থেকেই স্থানীয় ক্রিকেটারদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। ডি ভিলিয়ার্স আর হেলসের অবর্তমানে তারা যদি মানসিকভাবে দৃঢ়তার পরিচয় দিয়ে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে পারে, তাহলে আমাদের দলের স্থিতিটা ঠিক থাকবে।

প্রতিনিধি