গত ২০ মার্চ ২০১৮ তারিখে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বানানভিত্তিক সামাজিক সংগঠন বাশু (বানান শুদ্ধকারী) আয়োজিত ২ দিনের কর্মসূচির প্রথম দিনের ‘বাটাভু সংশোধনীয় দক্ষতা উন্নয়নমূলক কর্মশালা’ সম্পন্ন হয়েছে।
ব্যতিক্রমধর্মী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি শুধুমাত্র বাশু’র প্রতিনিধিত্ব করবেন এমন বানানপ্রেমীদের জন্যই আয়োজন করা হয়। বাশুর সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক ‘শব্দযোদ্ধা’ হতে আগ্রহীরাই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালার প্রশিক্ষক এবং
প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ইসফাক আহমদ (জেনন জিহান) এর বক্তব্য অনুসারে, “সংগঠন পরিচালনা করতে গিয়ে প্রায় সময় দেখা যায় “বানান ঠিক করব” এই আবেগের বশে অনেকেই বাশুর সাথে কাজ করতে আগ্রহী হয়েছেন। টাকলামি, বাটাভু এসব বিষয়গুলোতে বাশুর কর্মীগণ ততটা স্পষ্ট নন। বাংলা একাডেমির সবশেষ সংশোধন নিয়েও অস্পষ্ট ধারণা বিদ্যমান। তারই প্রেক্ষিতে শুধুমাত্র বাশুর এডমিন, মোডারেটর এবং বানানপ্রেমীদের অংশগ্রহণে একটি কর্মশালার পরিচালনার চিন্তাধারা আমরা করি। যাতে নিজেদের মধ্যে কোন ভুল বা বিভ্রাট না থাকে।”
প্রথম দিনের কর্মশালাতে বাংলা, ইংরেজি এবং বাংলিশ বানান ভুল-শুদ্ধি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও বাশু গবেষণালব্ধ বাংলিশ বর্ণমালারীতি, বানান ভুলের শ্রেণিবিন্যাস, ফেসবুক এবং বাস্তব জীবনে দেখা ভুল বানানসমূহ, মুরাদ টাকলা/টাকলি কারা?, টাকলামি কী? বাটাভু কেন বলা হচ্ছে?, ইচ্ছাকৃত শব্দবিকৃতি, শব্দ অবহেলা এবং শব্দ অবমাননার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুধু বানানেই সীমাবদ্ধ ছিলো; তা নয়। একটি আলোচনাসভাতে অংশগ্রহণের আদব, শিষ্টাচার, জনসচেতনতা নিয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
প্রশ্নোত্তর পর্বে উঠে আসে শহিদ/ শহীদ, ঈদ/ ইদ, বাড়ি/ বাড়ী বির্তক। এছাড়া ‘আমরা এসেছি’ এবং ‘বসে আছি’ এই দুইটি বাক্য বাংলিশে লিখতে দেওয়ার ফলে অংশগ্রহণকারীদের অজান্তে করা টাইপিং ভুলগুলো উঠে আসে।
কর্মশালার ২য় ধাপে ‘বাংলায় প্রতিষ্ঠানের নামকরণ চাই’ দাবিতে বাশুর ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে চলমান কার্যক্রম জনরায় এবং গণস্বাক্ষর সংগ্রহ পরিচালিত হয়।
প্রথম দিনের এই কর্মশালাতে উপস্থিত ছিলেন: লামিয়া তানজিন মাহমুদ তারাবী, অধরা খান চৈতী, আয়েশা রাহামান আন্নিকা, মো: রবিনুজ্জামান রবিন, আব্দুল কাদের, হাসিবুল হাসান শান্ত, নিপা, মো: শাহজাহান, অহনা তাবাসসুম অরিন, লাবণ্য মুক্তি প্রমূখ।