আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের গাজীপুরের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে পিটুনিতে আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। আহতদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দাক্ষিনখান এলাকায় একদল বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বাড়ির ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর করে। এ সময় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে স্থানীয়রা তাদের প্রতিরোধ করে। স্থানীয়রা বাড়িটি ঘিরে ফেলে কয়েকজনকে মারধর করেন। মারধরে আহত হন ১২ থেকে ১৫ জন। পরে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনাস্থলে যান সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।
কয়েকজন আহতকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে, এই ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে রাত ৩টা পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন ৮ জন। এদের মধ্যে শুভ শাহরিয়া (১৬), ইয়াকুব (২৪), সৌরভ (২২), কাশেম (১৭) ও হাসানের (২২) পরিচয় জানা গেছে।
শুভ শাহরিয়া গাজীপুরের সাইন বোর্ডের কামারজুরি এলাকার ফজলুর ছেলে। ইয়াকুব গাজীপুর গাছা থানার শরিপুর গ্রামের মেহের আলীর ছেলে। সৌরভ টঙ্গী পূর্ব থানার মধুমিতা রোডের গণেশ ঘোষের ছেলে। কাশেমের বাড়ি গাছা থানার আলহেরা পেট্রল পাম্প এলাকায়, সে মৃত হাজী জামালের ছেলে এবং হাসান জয়দেবপুর থানার জোড়পুকুর এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে।
সৌরভের বন্ধু পিয়াস বলেন, ‘রাত সাড়ে ৮টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে যায়। এরপর আওয়ামী লীগের লোকজন মাইকিং করে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে তার বন্ধুসহ অনেকেই আহত হয়।’
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ছাত্র–জনতার পরিচয় দিয়ে সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরে স্থানীয়রা এটির প্রতিরোধ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে।