করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রাবল্য অনেক অনেক বেশি। ব্রিটেন, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার করোনা স্ট্রেনের মিলিত দাপটে ধরাশায়ী হতে হচ্ছে ভারতকে। আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালে দেখা দিয়েছে বেডের হাহাকার, অক্সিজেন, জীবনদায়ী ওষুধ রেমডেসেভিরের আকাল।
এ যাবৎ ভারতে আক্রান্তদের শরীরে মূলত তিনটি বিদেশি প্রজাতি পাওয়া গিয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি ব্রিটেন স্টেনের। এ ছাড়া পাওয়া গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিল প্রজাতি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক বলছে যে এই নতুন ডাবল মিউটেন্ট বিশাল পরিমাণে বেড়ে চলেছে। যার ফলে সারা দেশে সংক্রমণের ঘটনা বাড়ছে। এরজন্য প্রতিটা মানুষকেই দায়ী করছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের বক্তব্য, যখন নিম্মমুখী হয়েছিল করোনাভাইরাস তখন থেকেই নিয়মের তোয়াক্কা না করেই দৈনন্দিন জীবনযাপন করেছে আমজনতা। যার ফলস্বরূপ পূর্ণ তেজে ফের হাজির সারস-কোভ-২। টিকাকরণ চলছে। কিন্তু লাভের লাভ হচ্ছে কি?
ডাঃ অরিন্দম বিশ্বাস বলেন সবচেয়ে মানুষকে সচেতন হতে হবে, বুঝতে হবে যে নিয়ম না মানলে আক্রান্ত করোনায় হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। তাই নিজেই এই বিষয়ে নিজেকে বাঁচানোর জন্য সব রকম ব্যবস্থা করতে হবে। তাঁর পরামর্শ,
১. মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক৷ কোনওভাবেই এটা আপোষ করা যাবে না৷
২. বারবার হাত ধোওয়া অভ্যাস করুন। সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধোবেন৷ তা না হলে অ্যালকোহল রয়েছে এমন স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার রাখুন৷
৩.করোনা থেকে বাঁচতে ডায়েটে তাজা ফল, শাক ও সব্জি, মাছ, মাংস রাখতেই হবে রোজ। এগুলি থেকে প্রোটিন, ভিটামিন অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, খনিজ পুষ্টি পাবেন।
৪. যদি আপনার কাশি এবং জ্বর হয়ে থাকে তাহলে কারও খুব কাছাকাছি যাবেন না।
৫. নিজের চোখ, মুখ ও নাক স্পর্শ করবেন না।
৬. প্রকাশ্যে থুতু ফেলবেন না
ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও কেন সংক্রমিত হচ্ছেন? এপ্রসঙ্গে ডাঃ অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, “ভ্যাকসিন ম্যাজিক করতে পারে না৷ একটা প্রক্রিয়াকে মান্যতা দিতে হবে৷ দুটো ডোজ নেওয়ার ছ মাস পরও যদি কেউ করোনা আক্রান্ত হয় তাহলে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে ভাবতে হবে৷ তার আগে নয়৷”
নির্বাহী সম্পাদক