সর্বাত্মক লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিনে সিলেটে আরও কঠোর হয়েছে পুলিশ। সিলেট নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল না করতে পারে সেজন্য বাঁশ টানানো হয়েছে। বাঁশ অতিক্রম না করতে পেরে অনেকেই ফিরে যেতে দেখা যায়। তবে জরুরী কাজের জন্য যারা বের হচ্ছেন তাদের সার্বিক বিষয় তথ্য নিয়ে পুলিশ ছেড়ে দিতে দেখা গেছে। সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকে সিলেট নগরীর রাস্তায় অন্য দিনের তুলনায় সিএনজি অটোরিকশা, মোটর সাইকেল, প্রাইভেট গাড়ি ও রিকশা অনেক কম। সেই সাথে লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশও কঠোর অবস্থান নেয়। যানবাহন আটকে রাস্তায় বের হওয়ার কারণ জানতে চায়। সদুত্তর না পেলেই যাত্রী নামিয়ে দিয়ে মামলা ঠুকে দেয় সংশ্লিষ্ট যানবাহনের বিরুদ্ধে। সেই সাথে জরিমানাও করা হচ্ছে।
সিলেট কালিঘাট, বন্দরবাজার, মদিনা মার্কেট ও আম্বরখানা টিলাগড় এলাকাসহ বেশ কিছু এলাকায় সোমবার সকাল থেকে জনসমাগম কিছুটা বেশী থাকলেও পুলিশের অভিযানের খবর পেয়ে অনেকেই দ্রুত সরে যান। তবে নগরীর মোড়ে মোড়ে পুলিশ সদস্যরা তৎপর হয়ে ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। এছাড়া অলি গলিতে ভাসমান পণ্য বিক্রেতাদের তৎপরতা ছিলো আগের চার দিনের চেয়ে একটু বেশী। সেই সাথে সিলেটের গুরুত্বপূর্ণস্থানে হকারদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারের নির্দেশনা না মেনে যারা বের হয়েছে তাদেরকে পুলিশ কোনভাবেই ছাড় দিচ্ছে না। এমনকি তাদেরকে সর্তক করেও দিতে দেখা যায়।
গতকাল রবিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে চৌহাট্টা, আম্বরখানা, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, তালতলা, দক্ষিণ সুরমার কদমতলী, সোহবানীঘাট, মেডিক্যাল রোড, সুবিদবাজার, মদিনা মার্কেট, পাঠানটুলা এলাকায় পুলিশের নজরদারি ছিলো চোখে পড়ার মতো। এছাড়া নগরীতে মোটরসাইকেল, প্রাইভেট যানবাহন, সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে চলাচল করায় তাদের বিরুদ্ধে ট্রাফিক পুলিশ মামলারে পাশাপাশি জরিমানাও করেছে। চলমান লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা না মেনে বাহির হওয়ার কারণে তাদেরকে পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কোন সদুত্তর দিতে না পারায় পুলিশ তাদেরকে বাড়িতে ফেরত পাঠায়। এছাড়া নির্দেশনা না মানায় সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশা থেকে যাত্রীদেরকে নামিয়ে দেয় পুলিশ। এদিকে, গত ৫ দিনের মতো সোমবার (১৯ এপ্রিল) নগরীর মূল সড়কে জনসমাগম ও জনসাধারণের চলাচল কম থাকলেও অলি-গলিতে লোকজনের উপস্থিতি দেখা মিলছে তুলনামূলক কম। লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিনে সিলেট মহানগরের সবকটি কাঁচাবাজার, মুদির দোকান ও ওষুধের দোকান খোলা থাকলেও বিপণীবিতান, মার্কেটসহ সকল ফ্যাশন হাউজ বন্ধ রয়েছে।
বার্তা বিভাগ প্রধান