সিলেটে কর্মরত মানবিক, সদা পরোপকারী বিশেষ করে খাদ্য, চিকিৎসা, ঔষধ ও রক্ত নিয়ে মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসা পুলিশ সদস্য সফি আহমদ এবার নিজের জন্মভূমি কুলাউড়াবাসীর জন্য একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের জন্য দাবি তুলেছেন। তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি ইষ্ট কোষ্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান কুলাউড়ার কৃতি সন্তান জনাব, আজম জে চৌধুরীর কাছে এ দাবি করেছেন।তাঁর এ দাবি সম্বলিত ফেইসবুক স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলঃ
“কুলাউড়ায় একটি আধুনিক হাসপাতাল বানানো এখন সময়ের দাবি।আল্লাহ্ আমার ক্ষুদে বার্তা জনাব আজম জে. চৌধুরী সাহেবের কাছে পৌঁছে দিবেন। আমিন।
আমাদের কুলাউড়ার অসহায় মানুষের চিকিৎসার সুব্যবস্থা দানে আপনার সুদৃষ্টি একান্ত কাম্য।
এমন একটি হাসপাতাল হবে যে হাসপাতালে থাকবে সকল প্রকাশ ডায়াগনস্টিক সেন্টার,
একটি ব্লাড ব্যাংকসহ একটি আধুনিক হাসপাতালে যা যা প্রয়োজন তার সব গুলো।
বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আমাদের কুলাউড়ার গর্ব বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাংলাদেশের অন্যতম শিল্পপতি জনাব আজম জে. চৌধুরী সাহেবের।
জনাব আজম জে. চৌধুরী কিভাবে আমাদের গর্ব আর তিনি চাইলেই এরকম হাসপাতাল আমাদের উপহার দিতে পারবেন তার কিছু বর্ণনা।
নিজের মেধা, মনন এবং সৃষ্টিশীল কাজের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করা এক অসামান্য ব্যক্তিত্ব। শিক্ষা-সংস্কৃতি, সামাজিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের জন্য যিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুখ্যাতি পাওয়া বাংলাদেশের অন্যতম বরেণ্য এই শিল্পপতি নিজেকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। দেশের অর্থনীতির উৎকর্ষতার পাশাপাশি মানব কল্যাণেও যার ভূমিকা প্রশংসনীয়। আত্মপ্রচারবিমুখ এই ব্যক্তিত্ব নিজের মেধা ও শ্রম দিয়ে দেশের বিদ্যুৎ, গ্যাস, চা শিল্প, গার্মেন্টস ও ব্যাংকিং খাতকে অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। নিজের এমন যুগান্তকারী প্রশংসনীয় কর্মকান্ডের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় লজিস্টিক্স কোম্পানি ডিএইচএল এক্সপ্রেস ও দ্য ডেইলি স্টারের যৌথ আয়োজনে ১৮তম বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ অনুষ্ঠানে দেশের সেরা ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্ব হিসেবে নির্বাচিত এবং সম্মাননা পেয়েছেন স্বনামধন্য শিল্পপতি ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা আজম জে চৌধুরী।
শত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি তাঁর জন্মভূমি কুলাউড়ার জন্য সহযোগিতার হাতকে প্রসারিত রেখেছেন প্রতিনিয়ত। দেশের কল্যাণের পাশাপাশি নিজের জন্মভূমি কুলাউড়ার শিক্ষা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে অনবদ্য ভূমিকা রয়েছে তাঁর। উপজেলার কাদিপুরে পিতার নামে স্থাপিত মহতোছিন আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ও বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য প্রতিনিয়ত পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর প্রতিষ্ঠান ইস্ট কোস্ট গ্রুপ ও প্রাইম ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় কুলাউড়ার অনেক শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য কুলাউড়ায় একমাত্র আধুনিক ‘বখতুন্নেছা চৌধুরী ডায়াবেটিস হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি কুলাউড়া শহরে নিরাপত্তা রক্ষায় ও চুরি ছিনতাই রোধে ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির মাধ্যমে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করেছেন। যার সুফল কুলাউড়ার সর্বস্তরের মানুষ ভোগ করছেন। কুলাউড়ায় নিয়মিত ফ্রি স্বাস্থ্য ক্যাম্প আয়োজনের মাধ্যমে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত কুলাউড়া থানায় একটি পুলিশী টহল ভ্যান প্রদান করেছেন। এছাড়াও কুলাউড়ার শিক্ষা, সামাজিক ও সংস্কৃতির উন্নয়নে আজম জে চৌধুরী কাজ করে যাচ্ছেন নিরন্তর।
দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ইস্ট কোস্ট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আজম জে. চৌধুরী বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি ব্যাংক প্রাইম ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন এবং বর্তমানে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। একই সঙ্গে তিনি কনসলিডেটেড টি অ্যান্ড ল্যান্ডস কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডেরও (প্রাক্তন জেম্স ফিনলে লিমিটেড) চেয়ারম্যান ও মবিল যমুনা (এমজেএল) বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ওমেরা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড, ওমেরা সিলিন্ডার লিমিটেড ও ওমেরা ফুয়েল লিমিটেডের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বাংলাদেশ এনার্জি কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট, এলপিজি অপারেটরস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (লোয়াব) সভাপতি, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের প্রেসিডেন্ট ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালক এবং ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ ওশিয়ান গোয়িং শিপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি কুর্মিটোলা গল্ফ ক্লাবের অডিট ও ফাইনান্স কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়াও তিনি গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের (২০০১-২০০৫) চেয়ারম্যান ছিলেন।
আপনার সুদৃষ্টি আমাদের একান্ত কাম্য।
কুলাউড়াবাসীর কাছে অনুরোধ হাসপাতালের জন্য যদি গণসাক্ষর নিতে হয় তাহলে আমাদের কুলাউড়া অনেক মানুষই গণসাক্ষর দিতে প্রস্তুত।
তার পরেও আমাদের একটা হাসপাতাল চাই।
আমাদের বৃদ্ধ মা বাবা কে নিয়ে বিভিন্ন স্থান চিকিৎসার জন্য যাতায়াত করা অনেকটা ঝুকিপূর্ণ এমতাবস্থায় আমাদের কুলাউড়ায় একটা আধুনিক হাসপাতাল থাকলে আমরা দুঃখ কষ্ট ও ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবো।
জনাব আমি জানিনা আমার ক্ষুদ্র বার্তা আপনার নজরে আসবে কি না কিন্তু আমি জানি আপনিই পারবেন আল্লাহ্ হুকুমে আমাদের এমন ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে।