কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনায় চার ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ক্যাম্পের বাসিন্দারা তাদের ‘ডাকাত’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। মঙ্গলবার রাতে কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে এখনও থমথমে বিরাজ করছে।
রোহিঙ্গারা জানায়, ‘ক্যাম্পের মুন্না গ্রুপ ও ‘আরসা’ গ্রুপের মধ্যে মাদকসহ ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় গোলাগুলির ঘটনায় ওই চারজন নিহত হয়েছে। তার মধ্যে একজন শীর্ষ ডাকাত মুন্নার ভাই গিয়াস উদ্দিন ওরফে গেচ্ছারী বলে জানা গেছে। বাকিদের নাম পাওয়া যায়নি। এখনও সেখানে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে কাজ করছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহম্মদ সনজুর মোরশেদ বলেন, ‘গোলাগুলির ঘটনায় নিহত চার জন রোহিঙ্গার মারা গেছে। পুলিশ সেখানে কাজ করছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
রাত সাড়ে ৯ টার দিকে কক্সবাজার জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘উখিয়া রোহিঙ্গা শিবিরের ডাকাত দলের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে চারজন মারা গেছে। পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করেছে। পুলিশ ডাকাতদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করছে।’
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন রোহিঙ্গাদের মধ্যে গোলাগুলি চলছিল। এর আগে রবিবার ৮টার দিকে আবার দ্বিতীয় দফা গোলাগুলি, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে সাতটি ঘর পুড়ে গেছে এবং আহত হয়েছেন ১৫ জন রোহিঙ্গা। তাদেরকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল ও রোহিঙ্গা শিবিরের বিভিন্ন এনজিও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
বার্তা বিভাগ প্রধান