সিলেট নগরীতে র্যাব কর্মকর্তার বাসায় চুরির ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উদ্ধার হয়নি চুরি যাওয়া মালামালও। তবে ওই র্যাব সদস্যের স্ত্রী-সন্তানকে খবারের সাথে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে অচেতন করে বাসায় ঢুকে চুরির ঘটনায় সিলেট কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, ওই বাসার পাশের বাসা থেকে সিসিটিভি ফুটেজ এবং হার্ড ডিস্ক জব্দ করেছে র্যাব-৯।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার ঢাকার উত্তরাস্থ র্যাব-১ কর্মকর্তা (সহকারী উপ-পরিদর্শক) মনজুর আহমদ বাদি হয়ে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নং ৩৫, তাং ২৩/৭/২০)। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।
মামলা এজাহারে উল্লেখ, গত ১৭ জুলাই রাতের কোনো এক সময়ে সংঘবদ্ধ চোরচক্র নগরীর নবাব রোড এলাকার ৮নং সিদ্দিকি ভিলার র্যাব সদস্যের বাসার রান্না ঘরের জানালা দিয়ে খাবারের মধ্যে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে দেয়। পরে রাতে জানালার গ্রিল কেটে বাসায় ঢুকে নগদ প্রায় একলক্ষ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নেয়। পরদিন সকালে অসুস্থ অবস্থায় র্যাব সদস্যের স্ত্রী (৩২) এবং তিন সন্তান জাবিন (১২), মাহজাবিন (১০) এবং লাবিবকে (৪) উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেশ কয়েক ঘন্টা পর তাদের জ্ঞান ফিরে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট কোতয়ালি থানার ওসি সেলিম আহমদ আজ শনিবার (২৫ জুলাই)জানান, খবারের সাথে চেতনানাশক ঔষধ শরীরে যাওয়া অসুস্থ স্ত্রী-সন্তানদের চিকিৎসা শেষে গত ২৩ জুলাই কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছেন উত্তরাস্থ র্যাব-১ এ সহকারী উপ-পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত মনজুর আহমদ। তবে এখনও কাউকে আটক বা চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। চোরদের ধরতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রতিনিধি