Home » মোগলাবাজার থানা পুলিশ অভিযানে গাড়িসহ ছিনতাইকারী আটক

মোগলাবাজার থানা পুলিশ অভিযানে গাড়িসহ ছিনতাইকারী আটক

ফিল্মী স্টাইলে নগর কাপিয়ে পালানোর কালে ০৩(তিন) ছিনতাইকারী ও ০১(এক) প্রাইভেটকার আটক।রাত অনুমান ১.৪৫ ঘটিকায় একদল ছিনতাইকারী প্রাইভেটকার যোগে সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কে রেঙ্গা-হাজিগঞ্জ এর নিকটস্থ ব্রিজের পার্শ্বে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে যানবাহনে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করছিল। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে মোগলাবাজার থানার এসআই (নিঃ)/পলাশ কানু সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থল ব্রীজের নিকটবর্তী হন। কিন্তু ছিনতাইকারী দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকার চট্ট মেট্রো গ-১১-২৪৫৪ যোগে দ্রুত বেপরোয়া গতিতে সিলেট অভিমুখে পালাইতে থাকেন। এসআই কানু তাদের ধাওয়া করেন এবং বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে ছিনতাইকারী দলকে ধৃত করার জন্য অন্যান্য মোবাইল দলের সহযোগীতা চান। মোগলাবাজার থানার প্রত্যেকটি মোবাইল দল সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের একাধিক স্থানে ছিনতাইকারীদলকে আটকের চেষ্টা করে। কিন্তু বেপরোয়া ছিনতাইকারী প্রাইভেটকার উল্কার গতিবেগে গাড়ি চালাইয়া বিভিন্ন অলিগলি দিয়ে পালাতে থাকে। মোগলাবাজার থানা পুলিশ ধৈর্য্যহারা হয়নি।

দৃঢ় মনোবলে জীবনের ঝুকি নিয়ে নিজেদের ব্যবহৃত যানবাহন সহ ছিনতাইকারীদলের পিছু ধাওয়া করতে থাকে। ছিনতাইকারী দল মোগলাবাজার থানা হেতিমগঞ্জ হয়ে শিববাড়ি রেলক্রসিং অতিক্রম করে চান্দাই দিয়ে দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকায় প্রবেশ করে। অত:পর দক্ষিণ সুরমা থানার বিভিন্ন অলিগলি দিয়ে গাড়ি চালিয়ে কাজির বাজার ব্রীজ অতিক্রম করে কোতোয়ালী থানায় প্রবেশ করে। তারা বিভিন্ন অলিগলি ফিল্মি ইস্টাইলে মহরা দিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে এ্ই দৃশ্য সিলেট নগরের সেহরী খেতে জেগে উঠা লোকজন দেখে তাদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

এক সময়ে কৌতহলি হয়ে তারাও মোটরসাইকেল ও গাড়িযোগে ছিনতাইকারীদের অনুসরণ করতে থাকে। ছিনতাইকারী পাকরাওয়ের জন্য পুলিশ জনতার যৌথ ধাওয়া চলতে থাকে। এক পর্যায়ে কোতোয়ালী থানাধীন বাগবাড়ী সোনার বাংলা আবাসিক এলাকায় পাকা রাস্তায় ২.৩০ ঘটিকায় চলন্ত গাড়ি নিউট্রল করে ছিনতাইকারীরা গাড়ি থেকে লাফিয়ে বের হয়ে পালাতে থাকে। এসআই/কানু সঙ্গীয় ফোর্স সহ কোতোয়ালী থানা পুলিশ ও জনতার সহায়তায় ছিনতাইকারী ১। হুমায়ুন কবির(২৫), পিতা: জহুরুল হক সাং-সাতগড়িয়া, উজিবাড়ি ০১ নং ওয়ার্ড থানা: চৌদ্দগ্রাম, জেলা: কুমিল্লা, বর্তমানে লালমাটিয়া বাবলার বাসার ভাড়াটিয়া, থানা: মোগলাবাজার, সিলেট ২। রবিউল হোসেন জাকির(৩৫) পিতা: খোরশেদ আলম, সাং পূর্বচর মজিদ সফি আলমের বাড়ি, পো: আনসার মিয়ার হাট থানা: চরজব্বার, জেলা: নোয়াখালী বর্তমানে খোজার খলা, থানা: দক্ষিন সুরমা, জেলা: সিলেট, ৩। আরিফুল ইসলাম(২৮) পিতা; মৃত জুলফিকার আহমদ সেলিম, সাং- মাইজভাগ থানা: ফেঞ্চুগঞ্জ, জেলা: সিলেট বর্তমানে শেখ সোহেল মিয়ার কলোনী গোটাটিাকর, জেলা: সিলেটদের আটক করতে সক্ষম হন।

ছিনতাইকারী দলের ব্যবহৃত প্রাইভেটকার তল্লাশি করে, ১। একটি লোহার রড লম্বা ২২.৫ ইঞ্চি, ২। একটি রামদা লম্বা অনুমান ২৪ ইঞ্চি, ৩। প্লাস্টিকের হাতল যুক্ত একটি স্কু ড্রাইভার, ৪। একটি প্লাস্টিকের হাতল যুক্ত কাটার (চাকু) উদ্ধার করা হয় । মোগলাবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক মো: ছাহাবুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ আখতার হোসেন উক্ত শ্বাসরুদ্ধকর সফল অভিযান পরিচলনা করেন। এ সংক্রান্তে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে এবং আসামীদেরকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে বলে জানিয়েছেন মোগলাবাজার থানার ও.সি. আখতার হোসেন।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *