সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক নার্সকে বাসা ছেড়ে দিতে বাসার মালিকের পক্ষে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাসার মালিক জাকির আহমদের পক্ষে তার ভাতিজা এই হুমকি দেন। স্বেচ্ছায় বাসা না ছাড়লে লোক দিয়ে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ওই নার্স ও তার পরিবারের লোকজনকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে পুলিশ ও ভ্রাম্যমান আদালত গিয়ে বাসার মালিকের ভাতিজা সাজু আহমদকে সতর্ক করে এসেছে।
শুক্রবার সিলেট নগরীর নবাব রোডের ঝর্ণা ভিলায় এ ঘটনা ঘটে। ওই বাসার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন ওসমানী হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স সাবিনা ইয়াসমিন।
সাবিনা ইয়াসমিন জানান, তিনি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ছিলেন। ছুটিতে থাকাবস্থায় তার এক সহকর্মীকে দিয়ে বাসাটি ভাড়া নেন। ছুটি শেষে তিনি বৃহস্পতিবার সকালে তার স্বামী, পাঁচ মাসের বাচ্চা ও কাজের ছেলেকে নিয়ে বাসায় উঠেন। বিকেলে বাসার কেয়ারটেকার রুবেল মিয়া এসে তাকে বাসা ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। বিষয়টি তিনি পুলিশ ও জেলা প্রশাসনকে অবগত করেন। রাতে ভ্রাম্যমান আদালত গিয়ে বাসার কেয়ারটেকার ও নিচতলায় বসবাসরত মালিকের ভাতিজা সাজুকে সতর্ক করে আসে। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকে ফের বাসা ছাড়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন সাজু। বিকেল চারটার মধ্যে বাসা ছেড়ে না দিলে লোক ডেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি।
হুমকির বিষয়টি পুণরায় পুলিশ ও জেলা প্রশাসনকে অবগত করলে বিকেল ৪টার দিকে ওই বাসায় যায় ভ্রাম্যমান আদালত। এরপর ওই নার্সকে আর বাসা ছাড়ার জন্য চাপ দেওয়া হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে চুড়ান্তভাবে সতর্ক করে ভ্রাম্যমান আদালত।
সিলেট কোতোয়ালী থানার ওসি মো. সেলিম মিয়া জানান, নার্সকে বাসা ছাড়ার জন্য মালিক পক্ষের লোকজন চাপ দিচ্ছেন খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাসায় গিয়ে সতর্ক করে এসেছে। ভ্রাম্যমান আদালতও দুইবার গিয়ে সতর্ক করেছে। এরপর ওই নার্সকে বাসা ছাড়তে চাপ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাহী সম্পাদক