এশিয়ার ৩০০ জন তরুণ উদ্যোক্তা, নেতা ও নতুন পথ উন্মোচনকারীদের প্রাথমিক তালিকা করেছিল এই পত্রিকাটি। সেখান থেকে সেরা ৩০ জনের নাম প্রকাশ করা হলো।
রাবার নামের পাশে বিশেষণে লেখা হয়েছে, তিনি জেকেএনকে ফ্যাশন ব্র্যান্ডের সত্ত্বাধিকারী ও দেশের প্রথম নারী ইউটিউব কমেডিয়ান। তালিকায় রাবা তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছেন।.
এতে প্রথমে আছেন ফিলিপাইনের লুইস মাবুলো। তিনি তার কোকাকো প্রজেক্টের জন্য আলোচিত। দ্বিতীয় স্থানে ইন্দোনেশিয়ার মারিয়াস সান্টানু। যিনি ক্যাটারিং ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। প্রতিদিন ১৪ হাজার মানুষ তার খাবার গ্রহণ করে।
এদিকে সফল এই তরুণদের নিয়ে বিশেষ পরিচিতি ও আলাদা প্রতিবেদন তৈরি করেছে ফোর্বস। যেখানে রাবা খান প্রসঙ্গে লেখা হয়েছে, রাবা খান প্রতিটি বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীর কাছে পরিচিত নাম। তিনি ভিডিও তৈরির মাধ্যমে নানারকম বিনোদন দিয়ে আসছেন। বিদ্রূপাত্মকভাবে সামাজিক সমস্যাও তুলে ধরছেন। কখনও তাকে গাইতে বা কারো বাচন রপ্ত করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে পুরনো টিভি বিজ্ঞাপনে তার ঠোঁট মেলানো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এছাড়া সমাজের নানা ধরনের চরিত্রগুলো তিনি অনুকরণ করে উপস্থাপন করেন। নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার পাশাপাশি লেখালেখিতে পাওয়া গেছে তাকে। ‘বান্ধবী’ নামে তার একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। এটি নিয়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনার মুখেও পড়েছেন তিনি।
বইটি প্রসঙ্গে ফোর্বসে দেওয়া বক্তব্যে রাবা বলেন, ‘আসলে আমি কমেডিয়ান; তাই লেখক হিসেবে আমাকে মেনে নিতে অনেকেরই সমস্যা হয়েছে।’
জানান, অথচ বইটি ‘বেস্টসেলার’ খেতাবও পায়। রাবা নিজের মাধ্যমে কাজ করার পাশাপাশি ২০১৮ সালে ইউনিসেফের তরুণ শুভেচ্ছদূত হিসেবেও কাজ করেছেন।
এদিকে ফোর্বসের মতো পত্রিকার প্রচ্ছদে নিজের ছবি ও সফলতার তালিকায় নাম আসায় আপ্লুত রাবা খান। বললেন, ‘আমার বাবা এই ম্যাগাজিন (ফোর্বস) পড়তে খুব পছন্দ করেন। আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না, সেই ম্যাগাজিনের কাভারে আজ আমার ছবি। খুবই সম্মানিত বোধ করছি।’
বার্তা বিভাগ প্রধান