Home » আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠা মার্কিন তরুণীর

আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠা মার্কিন তরুণীর

অনলাইন ডেস্ক:

মানুষ করোনাভাইরাস নিয়ে অহেতুক আতঙ্কগ্রস্ত যাতে না হয়ে পড়েন, তার জন্য নিজের গল্প শেয়ার করলেন আমেরিকার সিয়াটলের বাসিন্দা এক তরুণী। ৩৭ বছরের ওই তরুণী নিজেও কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেখান থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেই ফেসবুকে নিজের কাহিনী শেয়ার করেছেন তিনি।

ওই তরুণীর নাম এলিজাবেথ স্কেইনডার। আমেরিকার মধ্যে ওয়াশিংটন থেকেই এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর এসেছে। সেই ওয়াশিংটনের সিয়াটেলেরই বাসিন্দা এলিজাবেথ। তিনি একটি বায়োটেকনোলজি সংস্থার ম্যানেজার পদে কর্মরত।
সম্প্রতি কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে সু্স্থ হয়ে উঠেছেন এলিজাবেথ। আক্রান্ত অবস্থায় সময়টা তার কেমন কেটেছে, কী কী লক্ষণ ছিল রোগের, এসব নিয়েই ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে এলিজাবেথ যা লিখেছেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারি একটা পার্টিতে গিয়েছিলেন, তার তিন দিন পর থেকেই অসুস্থতা অনুভব করতে শুরু করেন তিনি। তবে করোনা আক্রান্তের যে লক্ষণগুলোতেই বেশি জোর দেয়া হয়েছে সচরাচর, যেমন হাঁচি-কাশি, সেগুলোর কোনওটাই তার ছিল না। খুব বেশি পরিশ্রম করলে যেমন দুর্বলতা হয়, অনেকটা সে রকমই ছিল।

এলিজাবেথ জানান, এর আগের সপ্তাহটা তার খুব পরিশ্রম হয়েছে। ভেবেছিলেন, সে কারণেই এমনটা হচ্ছে। মাথাব্যথা, সারা গায়ে ব্যথা আর সঙ্গে জ্বর জ্বর ভাব। প্রথমে তাতে খুব একটা গুরুত্ব দেননি তিনি। তিনি পরদিন ঘুম থেকে উঠে দেখেন, ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট জ্বর। সঙ্গে কাঁপুনি হতে থাকে। যেহেতু করোনাভাইরাসের সাধারণ লক্ষণ হাঁচি-কাশি এবং শ্বাসকষ্ট কোনওটাই তার ছিল না, তাই চিকিৎসকও তাকে সাধারণ জ্বরের ওষুধ দিয়ে বিশ্রাম নেয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু ওষুধে তেমন কাজ হচ্ছিল না, তার উপর তিনি যে পার্টিতে যোগদান করেছিলেন, ওই পার্টির আরও কয়েকজনের মধ্যে একই অসুস্থতার কথা শুনে করোনাভাইরাস টেস্ট করানোর সিদ্ধান্ত নেন এলিজাবেথ।

টেস্টে কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়। তবে ততদিনে তিনি আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন, তাই চিকিৎসকেরা তাকে হাসপাতালে ভর্তির বদলে বাড়িতেই নিজেকে আলাদা রাখতে বলেছিলেন। সেই সঙ্গে বিশ্রাম ও প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে বলেছিলেন।

এই মুহুর্তে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। সাতদিন নিজেকে ঘরে বন্দি রাখার পর দৈনন্দিন স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে শুরু করেছেন। তবে এখন অনেক সাবধানে থাকছেন। মানুষের ভিড় এড়িয়ে চলছেন।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *