করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিশুদের রক্ষায় ও বিদ্যালয়গুলোকে নিরাপদ রাখতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ, ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এতে যেসব জায়গায় স্কুলগুলো এখনো খোলা আছে, সেখানে সর্বোত্তম পদ্ধতিতে হাত ধোয়া, স্বাস্থ্যবিধি বা হাইজিন অনুশীলন পদ্ধতি প্রচার এবং হাইজিন পণ্য সরবরাহের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।গত মঙ্গলবার দেওয়া ওই যৌথ নির্দেশনায় স্কুল ভবন, বিশেষ করে পানীয় ও স্যানিটেশনসুবিধাগুলো নিশ্চিত করা, পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখতে বলা হয়েছে।
শিশুর নিজেদের এবং তাদের পরিবারকে রক্ষার জন্য হাত ধোয়া ও অন্য পদক্ষেপগুলোর তথ্য স্কুলগুলোয় সরবরাহের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ওই নির্দেশনায়। এ ছাড়া স্কুলগুলোর উচিত মানসিক স্বাস্থ্যসহায়তা দেওয়া, শিক্ষার্থীদের একে অপরের প্রতি সদয় আচরণ করতে উৎসাহিত করা এবং ভাইরাসটি সম্পর্কে কথা বলার সময় গৎবাঁধা চিন্তা এড়াতে কুসংস্কার রোধে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা। অসুস্থ হলে শিশুকে বাড়িতে রাখতে বলা হয়েছে।
বিদ্যালয় বন্ধের ক্ষেত্রে অনলাইন শিক্ষার কৌশল ও শিক্ষার বিভিন্ন বিষয়কে বেতারের মাধ্যমে সম্প্রচারের মতো দূরশিক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সব শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় সেবাগুলোর সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য দৃঢ় পরিকল্পনা গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
যেসব দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে, সেসব দেশ ছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রেও এই নির্দেশিকা প্রাসঙ্গিক হবে। সংস্থা তিনটি বলছে, শিক্ষাই পারে স্কুলে, নিজেদের বাড়িতে এবং তাদের কমিউনিটিতে ভাইরাসটির বিস্তার রোধ ও নিয়ন্ত্রণ করতে। শিক্ষার্থীরা অন্যদের সঙ্গে রোগটির প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে কথা বলার মাধ্যমে এ কাজটি করতে পারে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং আইইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী কী কী করতে হবে, সে বিষয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়টিও যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সূত্র: প্রথম আলো
প্রতিনিধি