অনলাইন ডেস্ক : লুইস গ্রেগরির অলরাউন্ডিং নৈপুন্যে জয়ের দেখা পেলো রংপুর রেঞ্জার্স। বল হাতে দুই উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতে ঝড় তুলে দলের জয় নিশ্চিত করেন এই ইংলিশ ক্রিকেটার। এদিন স্বরুপে ফিরেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। রংপুরের সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন মোস্তাফিজ। টানা চার ম্যাচ পর হারের লজ্জা পেলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আর চার ম্যাচ পর বঙ্গবন্ধু বিপিএলের প্রথম জয় রংপুরের।
আজ রংপুরের নিয়মিত অধিনায়ক মোহাম্মদ নবির পরিবর্তে দলকে নেতৃত্ব দেন টম আবেল। টস জিতে চট্টগ্রামকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান এই ইংলিশ ক্রিকেটার। শেষ দুই ম্যাচে ২০০ ছাড়ানো চট্টগ্রাম এদিন ব্যাট হাতে শুরু থেকে ছিলেন নিষ্প্রভ।
রংপুরের মোস্তাফিজ প্রথম ওভারে তুলে নেন ক্যারিবিয়ান লেন্ডল সিমন্সের উইকেট। এদিন প্রথম ওভারে উইকেট মেডেন নেন মোস্তাফিজ। অধিনায়ক ইমরুলও ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি। ১০ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি। ব্যর্থতার ঘেরাটোপ থেকে এদিনও বেরুতে পারেননি নাসির হোসেন। ১৩ বলে ৯ রান করেন তিনি।
মাঠের একপ্রান্ত অবশ্য আগলে রাখেন ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দো। এই লঙ্কানের ৪০ বলে ৭২ রানে ১১.৪ ওভারে ৯৫ রান তোলে চট্টগ্রাম। শেষদিকে নুরুল হাসান সোহানের ২০, চ্যাডউইক ওয়ালটনের ১৬, লিয়াম প্লাঙ্কেটের ১৭ তে ভর করে ১৬৩/৭ সংগ্রহ দাঁড় করায় দলটি। রংপুরের পক্ষে মোস্তাফিজ ২৩ রানে নেন ২উইকেট। আর গ্রেগরি ২৭ রানে নেন ২টি।
১৬৪ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯ রানের মধ্যে ওপেনারদের হারায় রংপুর। ৩৬ রানের মাথায় নতুন অধিনায়ক আবেল ও ২৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এরপরে সাদমান ইসলামকে নিয়ে ৪০ রানের জুটি গড়ে সাময়িক বিপর্যয় সামলান গ্রেগরি। সাদমান ১৬ রান করে আউট হলে মাঠে আসেন আগের ম্যাচে ৪৪ রান করা ফজলে মাহমুদ।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে গ্রেগরি ও ফজলে ৯১ রান তুলে রংপুরের জয় নিশ্চিত করেন। গ্রেগরি ৩৭ বলে করেন ৭৬ রান। আর ফজলে ২১ বলে করেন ৩৮ রান। চট্টগ্রামের রুবেল হোসেন ২ উইকেট নেন ৩৭ রানে। আগের ৩ ম্যাচে ১১ উইকেট নেয়া মেহেদি রানা এ ম্যাচে ৩ ওভারে ১৬ রানে নেন ১ উইকেট। ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান লুইস গ্রেগরি।
প্রতিনিধি