অনলাইন ডেস্ক : আগামিকালই মহারাষ্ট্র বিধানসভায় আস্থা ভোট করতে হবে। নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্টের ৩ সদস্যের বেঞ্চ।সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে আজ জানিয়েছে, আস্থা ভোটে যাতে কোনও গোপনীয়তা না থাকে তার জন্য গোপন ব্যালটে ভোট নেওয়া যাবে না। ভোটাভুটি সরাসরি সম্প্রচার করতে হবে।
এই রায় দিল বিচারপতি এনভি রামান্না, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি অশোক ভূষণের বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে জানিয়েছে, বুধবার বিকেল পাঁচটায় বিধায়কদের শপথ গ্রহণের পরই আস্থা ভোট করাতে হবে ফডণবীস সরকারকে। উল্লেখ্য, গত শনিবার আচমকাই শপথ নিয়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী হন দেবেন্দ্র ফডণবীস, উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার। আচমকা ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। এদিনই এর বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন করে শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি। সেই মামলার রায় দিল সুপ্রিম কোর্টের ৩ সদস্যের বেঞ্চ।
সোমবার এনিয়ে মামলার শুনানিতে সলিসিটর জেনারেল বলেন, বিজেপির সঙ্গে এনসিপির ৫৪ জন বিধায়কের সমর্থন ছিল। সেই চিঠি রাজ্যপালকে দেওয়া হয়। তারপরেই বিজেপিকে সরকার গঠনের জন্য ডাকা হয়। পাশাপাশি এদিন ১৫৪ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বলে দাবি করে এনসিপি-কংগ্রেস-শিবসেনা জোট।
২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছে ১০৫ আসন। সরকার গঠনের জন্য তাদের প্রয়োজন আরও ৪০ বিধায়কের সমর্থন। এদিন দেবেন্দ্র ফডণবীস ও বিজপির হয়ে সওয়াল করতে উঠে প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল মুকুল রোহতগি বলেন, বিজেপির সঙ্গে ১৭০ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। রাজ্যপাল তা দেখেছেন। তার পরেই বিজেপিকে শপথ নিতে ডাকা হয়।
মুকুল রোহতগি এদিন আরও বলেন, রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত কোনও ভাবে আইনের আওতায় পড়ে না। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। সুত্র: জিনিউজ
প্রতিনিধি