কমলগঞ্জ প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে দুই সন্তানের জনক যৌতুক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতনে শিকার মোছা. সায়রা বেগমের বাবা মো. রমজান আলী। থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের শিংলাউলী ঈদগাহ টিলা এলাকার রমজান আলীর মেয়ে মোছা. সায়রা বেগম গত ২০১৫ সালের ১ জুনে
পতনঊষার ইউনিয়নের লছমী (লক্ষ্মীপুর) গ্রামের মৃত আছকির মিয়ার ছেলে ওলিউর রহমান আলীলের সাথে ইসলামী শরীয়াহ বিধান মতে বিয়ে দেয়া হয়। এর আগে ওলিউর রহমান আলীল আরেকটি বিয়ে করে যৌতুকের দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় ১টি কন্যা সন্তান রেখে ১ম স্ত্রীকে তালাক প্রদান করে। পরে প্রথম বিয়ের তথ্য গোপন করে আলীল ২য় বিয়ে করে সায়রাকে।
বিয়ের কিছুদিন পর বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধু সায়রার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত স্বামীর বাড়ির লোকজন। সায়রা অনেক নির্যাতন সহ্য করে একটি পুত্রসন্তানের মুখের দিকে চেয়ে সংসার কর্ম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
দুই বিয়ে করার পরও যৌতুকলোভী স্বামী পতনঊষার ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের সুলেমান মিয়ার মেয়ে রাবেয়া বেগমের বাড়িতে গিয়ে গোপনে স্বামী স্ত্রীর পরিচয় প্রায়ই অবৈধ রাতযাপন করে থাকে। এসব ঘটনায় ২য় স্ত্রী সায়রা বেগম প্রতিবাদ জানালে স্ত্রীকে মারধর করতে থাকে। পরে গত ৩০ অক্টোবর নগদ ৩০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে বাবার বাড়ি তাড়িয়ে দেন ওলিউর। এ ঘটনায় স্ত্রী সায়রার বাবা মো. রমজান আলী বাদি হয়ে ওলিউর রহমান আলীলসহ ৫ জনকে আসামী করে সম্প্রতি কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
চাঁনপুর গ্রামের অবৈধ সর্ম্পক গড়ে উঠা রাবেয়া বেগমের বাবা সুলেমান মিয়া বলেন, আমার মেয়ে আলীর সাথে পালিয়ে যাওয়ার পর তাকে বাড়িতে আনা হয়েছে। তবে আমার মেয়েকে তার সাথে বিয়া দেব না। কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান থানায় লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে।
প্রতিনিধি