Home » প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) হত্যায় জড়িত প্রত্যেকের ফাঁসি চান আবরারের মা

প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) হত্যায় জড়িত প্রত্যেকের ফাঁসি চান আবরারের মা

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় জড়িতদের প্রত্যেকের ফাঁসি চান তার মা রোকেয়া খাতুন।আজ বুধবার দুপুরে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম আবরার হত্যার ঘটনায় জড়িত ২৫ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। সেই অভিযোগ জমা দেওয়ার কথা শুনে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান আবরারের মা।রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগপত্র জমা দেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম।

আবরারের মা রোকেয়া খাতুনের দাবি, যারা এই হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের প্রত্যেকের ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে।আবরার হত্যার চার্জশিট হয়েছে শুনে তার মা রোকেয়া খাতুন বলেন, ‘ওরা এগারজন মিলে বাইড়ে মারইলো। আমারে বললে ছেলেকে না পড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে আসতাম। জমি চাষ, ব্যবসা করিয়ে ছেলেকে কাছে আগলে রাখতাম। ওরা কেন মাইরলো?’

পুলিশের দেওয়া চার্জশিটভুক্ত ২৫ আসামির মধ্যে ২১ জন গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের মধ্যে সরাসরি হত্যায় অংশ নিয়েছে ১১ জন। তবে এখনো পলাতক আছে চারজন।দ্রুত অভিযোগপত্র দেওয়ায় পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে আবরারের ছোট ভাই আবরার ফায়াজ বলেন, ‘যে চারজন আসামি পলাতক, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক।’

তিনি বলেন, ‘বুয়েট প্রশাসনের গাফিলতির কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ যে মন্তব্য করেছে, সে ব্যাপারে আশা করব ভবিষ্যতে যাতে বুয়েটে এ রকম ঘটনা না ঘটে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’ফায়াজ বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব বিচার কাজ শেষ করতে হবে এবং শাস্তি যেন দ্রুত কার্যকর হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর কথামতো মামলাটি যেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার হয়।’

অভিযোগপত্র জমার বিষয়টি জেনে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ খুশি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার এবং রায় ঘোষণার আগ পর্যন্ত আসামি যেন কারাগারে থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে বলে দাবি করেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তিনি বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলার ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। একই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে তাকে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয়। রাত ৩টার দিকে হল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর তার বাবা বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে গত ৭ অক্টোবর সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।সূত্র: আমাদেরসময়

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *