যুব সংগঠক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের গল্প
যুব সংগঠক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম
মানব কল্যাণে নিবেদিত এক দিপ্ত যুবক। মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্যে,
এই মৈত্র বলিয়ান হয়ে কিছু মানুষ শত বাধা বিপত্তি ও বাস্তবতার মধ্যে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন সমাজ তথা মানব সেবায়।
আবার কিছু কিছু দুঃখী মানুষের দুঃখে পীড়িত হন। এছাড়াও দুঃখী মানুষের দুঃখ দূর্দশা দূর করার জন্য সমাজ ও দেশের মাঝে রাখেন অনন্য অবদান। সে রকমই একজন যুবক মো: জহিরুল ইসলাম।
৩৬০ আওলীয়ার স্মৃতি বিজড়িত পূর্ণভূমি ও দুটি পাতা একটি কুড়ির দেশ সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০ নং উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের ২ নং ওয়াডের খাগাইল গ্রামের এক মুসলিম ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে ২৩ জানুয়ারী ১৯৯২ সালে রোজ বৃহস্পতিবার জন্ম গ্রহন করেন টগবগে এই যুবক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো: সফিকুর রহমান।২ বারের নির্বাচিত কমান্ডার,
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, গোলাপগঞ্জ উপজেলা কমান্ড। মাতা মোছামৎ নাজমা বেগম ৩ বোন ২ ভাই এর মধ্যে তিনি সবার ছোট।
আমাদের জানা মতে তিনি ছোট বেলা থেকেই বিভিন্ন উন্নয়মূলক সামাজিক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েন। সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতায় স্থানীয় ও দেশের জাতীয় অনেক সংগঠনের দায়িত্ব নিয়ে সফলতার সাথে কাজ করে আসছেন।
যেমনঃ সাবেক সদস্য: সার্ক ইয়ুথ এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ।
যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক : বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড,সিলেট জেলা।
সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক: বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, সিলেট মহানগর।
সাবেক সাধারণ সম্পাদক: বাংলাদেশ আইন সহায়তা কেন্দ্র যুব ফাউন্ডেশন, সিলেট।
প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক :সিলেট ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি।
যুব সংসদ সদস্য : সিলেট ৬ আসন
( গোলাপগঞ্জ – বিয়ানীবাজার) যুব ছায়া সংসদ – ২০১৬।
সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও পরিচালক: সিলেট আইটি টেনিং সেন্টার।
আমরা আজ যাকে নিয়ে আমরা আলোকপাত করছি তিনি বহুগুণে গুণান্বিত। তিনি দেশীয় সংগঠন ছাড়াও নিজ এলাকায় যুবদের কে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে উদ্ভোদ্দ করন ও সচেতনামূলক কর্মসূচী পালন করে বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা প্রধান করে আসছেন। উচ্চ শিক্ষার অভিলাস থাকলেও সামাজিক দায়বদ্ধতার দরুন উচ্চশিক্ষা গ্রহন তার ভাগ্যে জোটেনি। তবুও তিনি বাংলাদেশ মাদ্রাসা বোর্ড থেকে ২০১১ সালে দাখিল ও ২০১৩ সালে আলিম সম্পন্ন করেন এবং বর্তমানে তিনি সিলেট এম সি কলেজে
বি এ ২ তয় বর্ষে লেখাপড়ায় অধ্যয়নরত।
মানবতার কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ যুব সংগঠক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের উল্লেখ যোগ্য কিছু কার্যক্রমের বিষয় তুলে ধরা হলো।
সিলেট ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি ও বাংলাদেশ আইন সহায়তা কেন্দ্র যুব ফাউন্ডেশন সিলেট সহ অন্যান্য সংগঠনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব নিয়ে আর্থ মানবতার সেবায় নিয়োজিত থেকে সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলা সমুহে সামাজিক অসঙ্গতি দূর, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, দেশপ্রেমিক আত্নকর্মী ও সমাজকর্মী গড়ে তোলার লক্ষে সমগ্র জেলা ও উপজেলা এবং মহানগরে সভা সেমিনারের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন সহ অন্যান্য আর্থ সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে কল্যাণমূলক কর্মসূচী সমূহ পালন করে আসছেন।
তিনি সামাজিক সংগঠনের দায়িত্ব পালনের
মাধ্যমে সিলেট জেলা সমূহ সহ বিভিন্ন উপজেলায় শিক্ষিত,অর্ধ শিক্ষিত যুবদের সংগঠনের সদস্যভূক্ত করে সামাজিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সিলেট যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, গোলাপগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনিস্টিউট সাভার ঢাকা থেকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন।
ইতিমধ্যে তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনিস্টিউট সভার, ঢাকা থেকে প্রকল্প ব্যবস্থাপনা
বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন।
পাশাপাশি উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ রা মার্চ ২০১৮ ইং ৫ দিন ব্যাপী দেশের ৬৪ টি জেলা থেকে আগত যুব প্রতিনিধিদের নিয়ে যুব মিনিময় কর্মসূচীতে সিলেট জেলা থেকে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে
একজন।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক প্রশিক্ষণ বিষয়ে বাস্তব অভিজ্ঞাতার আলোকে সিলেট জেলা, উপজেলা সহ তৃনমূল পর্যায়ে বেকার যুবদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্য আত্নকর্মী ও সাবলম্বী হওয়ার পরামর্শ ও সহযোগিতা করে আসছেন।
যেমন, সেইলাই প্রশিক্ষণ, কম্পিউটার প্রশিক্ষন,
ইত্যাদি বিষয়ে ইতিমধ্যে কোর্স গুলো সম্পূর্ণ করেছেন। পাশাপাশি ইতি মধ্যে তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি ও যুব শক্তি গড়ে তুলার লক্ষে যুবদের বেকারত্বের অভিশাপ থেকে বাহির করার জন্য ও যুবরা যেন, আইটি বিষয়ে দক্ষ হয়ে নিজে কাজ শিখে, নিজের পরিবার,সমাজ ও দেশের উন্নয়ন এবং কল্যানে কাজ করেতে পারে এবং নিজেকে আত্বকর্মী ও সাবলম্ভী হিসেবে তৈরী করতে পারে সে জন্য তিনি ও তাহার সহযোগী বন্ধু মিলে প্রতিষ্ঠিত করেছে সিলেট আইটি ট্রেনিং সেন্টার।
যেখান থেকে আইটির উপরে যুবরা বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ হয়ে ও এ বিষয় গুলোকে কাজে লাগিয়ে তারা তাদের কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্যন ও দেশের উন্নয়নে অগ্রনী ভূমিকা রাখতে পারে সেই লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন এবং এ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহন করেছেন প্রায় ১৫০ জন যুব। তারা অনেকেই এখন স্বাবলম্বী ও নিজে কাজ করছে এবং অন্যকে কাজ সিখিয়ে দিয়ে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন।
তাছাড়া নির্যাতিত নিপিড়িত অসহায় মানুষকে আইনি সহায়তা, চিকিৎসা সেবা সহ নাগরিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে সামাজিক আন্দোলন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী – দাওয়া উপস্থাপন করে আসছেন। দেশপ্রেমিক সমাজকর্মী ও আত্বকর্মী সৃষ্টিতে সফল যুব সংগঠক হিসেবে মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের কর্ম পরিধি দেশ – দেশের মানুষের সেবায় আরো বেগবান হউক এই প্রত্যাশায় তাহার সর্বাঙ্গীন সফলতা ও দীর্ঘায়ু কমনা করি।
নির্বাহী সম্পাদক