Home » সিলেট নগরীর যে ৩৬ স্থানে পশু কোরবানি হবে

সিলেট নগরীর যে ৩৬ স্থানে পশু কোরবানি হবে

আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহায় সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) এলাকার ৩৬টি স্থানে পশু কোরবানি দেওয়ার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সিসিকের ২৭টি ওয়ার্ডের এসব নির্ধারিত স্থানেই নগরবাসী যাতে কোরবানি দেন, সেজন্য দুটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এর একটি হচ্ছে বাস্তবায়ন কমিটি, অপরটি মনিটরিং কমিটি। সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে নগরবাসী কোরবানি দেবেন। আমাদের সবাইকেই কোরবানি প্রদানের সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সিসিক ২৭টি ওয়ার্ডে ৩৬টি স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে। এসব স্থানে নগরবাসী সুশৃঙ্খলভাবে কোরবানি দিতে পারবেন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাও বজায় থাকবে। কারণ এসব স্থানে সিসিকের কর্মীরা কাজ করবেন। সিসিক এলাকার যে ৩৬টি স্থান কোরবানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে, সে স্থানগুলো হলো- ১নং ওয়ার্ডে মীরের ময়দান অর্ণব ৩০, ২নং ওয়ার্ডে দাড়িয়াপাড়ার মেঘনা এ/২৪ কাউন্সিলরের কার্যালয়, ৩নং ওয়ার্ডে ওসমানী মেডিকেল কলোনীর মাঠ এবং কাজলশাহস্থ ডাক্তার কলোনী, ৪নং ওয়ার্ডে আম্বরখানা সরকারি কলোনী মাঠ, ৫নং ওয়ার্ডে আম্বরখানা বড় বাজার এলাকার ৬৯ং বাসা কাউন্সিলরের কার্যালয়, ৬নং ওয়ার্ডে বিমানবন্দর সড়কে চৌকিদেখী এলাকায় কাউন্সিলরের কার্যালয়, ৭নং ওয়ার্ডে পশ্চিম পীরমহল্লার ঐকতান ১০৯নং-এ কাউন্সিলরের কার্যালয় ,

৮নং ওয়ার্ডে কালিবাড়ি রোডস্থ কাউন্সিলরের কার্যালয় এবং বিরেশ চন্দ্র স্কুল রোডে হাজী ইলাছুর রহমানের বাসা, ৯নং ওয়ার্ডে বাগবাড়ি এতিম স্কুল রোডে জবাইখানা, ১০নং ওয়ার্ডে ঘাসিটুলার কলাপাড়া ওয়ার্কশপের মাঠ এবং নবাব রোডস্থ পিডিবি স্কুলের মাঠ, ১১নং ওয়ার্ডে লালদিঘীরপাড় বালুর মাঠ, ১২ নং ওয়ার্ডে শেখঘাট রোডস্থ পুরাতন পাসপোর্ট অফিসের নিকটস্থ কাউন্সিলরের কার্যালয়, ১৩নং ওয়ার্ডে কাজীরবাজার মাদরাসা মাঠ এবং সিটি করপোরেশনের সারদা হল সংলগ্ন মাঠ, ১৪নং ওয়ার্ডে ছড়ারপাড় রোডস্থ সুগন্ধা-৬০ এ কাউন্সিলরের কার্যালয় এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মাঠ।

এছাড়া ১৫নং ওয়ার্ডে মিরাবাজার শাহজালাল জামেয়া স্কুল এন্ড কলেজের মাঠ, ১৬নং ওয়ার্ডে সওদাগরটুলার মাঠ, ১৭নং ওয়ার্ডে কাজীটুলায় কাউন্সিলরের বাসা সংলগ্ন খোলা স্থান, ১৮নং ওয়ার্ডে আগপাড়া রোডে আগপাড়া কো-অপারেটিভ অফিসের সামনে কাউন্সিলরের কার্যালয়, ১৯নং ওয়ার্ডে রায়নগর আলমটুলায় প্রত্যয় ৪৩ এ কাউন্সিলরের কার্যালয় এবং দপ্তরীপাড়া জামে মসজিদ, ২০নং ওয়ার্ডে সৈয়দ হাতিম আলী (র.) উচ্চবিদ্যালয় মাঠ, ২১নং ওয়ার্ডে শিবগঞ্জ লামাপাড়া গলিস্থ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়, ২২নং ওয়ার্ডে উপশহরে ই ব্লকস্থ স্প্রিং টাওয়ার সংলগ্ন মাঠ, এ ব্লকে মসজিদের সামনের মাঠ এবং সি ব্লকের মাঠ, ২৩নং ওয়ার্ডে মাছিমপুরস্থ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়, ২৪নং ওয়ার্ডে কুশিঘাটে প্রতিশ্রুতি-৮০ এ কাউন্সিলরের কার্যালয়, ২৫নং ওয়ার্ডে বঙ্গবীর রোডস্থ ফরেন পোস্ট অফিসের পাশে কাউন্সিলরের কার্যালয়, ২৬নং ওয়ার্ডে ভার্থখলাস্থ কাউন্সিলরের কার্যালয়, ২৭নং ওয়ার্ডে আলমপুরস্থ গোটাটিকর প্রাইমারি স্কুল মাঠ এবং বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের মাঠ কোরবানির জন্য নির্ধারণ করেছে সিসিক।

এদিকে, নগরবাসী যাতে নির্ধারিত স্থানেই পশু কোরবানি দেন, সেজন্য ৬ সদস্যের একটি বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করেছে সিসিক। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরীকে আহবায়ক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমানকে সদস্যসচিব করা হয়েছে কমিটিতে। কমিটির সদস্যরা হলেন- ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম শওকত আমীন তৌহিদ, সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আলম ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আ ন ম মনছুফ।

অন্যদিকে মনিটরিং কমিটিতে সদস্য আছেন ৭ জন। সিসিকের লাইসেন্স অফিসার মো. জাহাঙ্গীরকে আহবায়ক করে গঠন করা কমিটির সদস্যরা হলেন- ঊর্ধ্বতন স্বাস্থ্য পরিদর্শক আনোয়ারুল হক, স্বাস্থ্য পরিদর্শক আলবাব আহমদ, ভোপাল রঞ্জন চন্দ্র, জবাইখানা পরিদর্শক মুহিবুর রহমান, নিরাপত্তা পরিদর্শক জুবায়ের আহমদ ও অফিস সহায়ক আব্দুল লতিফ।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *