Home » সিলেটের তারা এখন দামি নেতা

সিলেটের তারা এখন দামি নেতা

ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও ইমরান আহমদ। প্রথমজন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর অপরজন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মস্থান বিষয়ক মন্ত্রী। দেশের মন্ত্রীসভায় সিলেট জেলাকে প্রতিনিধিত্ব করছেন এই দুই জন। ড. মোমেন আবার দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য আর ইমরান আহমদ সিলেট-৪ আসনের ষষ্ঠবারের মতো সংসদ সদস্য।

মন্ত্রীসভায় প্রতিনিধিত্ব করার পাশাপাশি এই দুই নেতা এখন সিলেটের সবচেয়ে সম্মানজনক পর্যায়ে আছেন। নেতাকর্মীদের কাছেও তাদের কদর এখন অনেক বেশী। নেতাকর্মীদের কেউ তাদেরকে ‘দামি নেতা’ হিসেবেও আখ্যা দিয়ে থাকেন। একসময় সিলেটের রাজনীতিতে তারা অনেকটাই উপেক্ষিত ছিলেন। একাধিকবারের এমপি হওয়া সত্ত্বেও ইমরান আহমদ অনেক বড় বড় রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে গুরুত্ব পেতেন না। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হলেও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রোগ্রামে তাদের দেয়া হতো না প্রাপ্ত মর্যাদা।

আর ড. এ কে আব্দুল মোমেন নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সিলেটে পরিচিত ছিলেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রীর ভাই হিসেবে। আওয়ামী লীগের বড় কোন পদে না থাকলেও দেশে আসার পর থেকে সিলেটে দলের বিভিন্ন কর্মকান্ডে উপস্থিত হতেন তিনি। সিলেটের রাজনীতিতে তাঁর আগমণ ভালোভাবে নেননি অনেক নেতাই। ভাই মুহিত সাথে না থাকলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপেক্ষা করা হতো তাকে। এমনকি নির্বাচনের কয়েকমাস আগে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধনের সময় তাকে সুযোগ দেয়া হয়নি বক্তব্য দেয়ার। এনিয়ে সিলেটে বেশ আলোচনা-সমালোচনাও হয়।

কিন্তু একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর বদলে যায় সিলেটে তাদের অবস্থান। ড. মোমেন দায়িত্ব পান পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীর আর ইমরান আহমদকে দায়িত্ব দেয়া হয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মস্থান মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রীর। এর মাত্র কয়েকমাস পরই তাকে করা হয় পূর্ণ মন্ত্রী।

সিলেটে নতুন করে এই দুই নেতা আলোচনায় আসেন জেলা ও মহানগর যুবলীগের সম্মেলনকে ঘিরে। মহানগরের সম্মেলনে প্রধান অতিথি করা হয় ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে আর জেলার সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ইমরান আহমদ। এতে সিলেটের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের উপরে থাকেন তারা দুজন। বিষয়টি নজরে আসে সিলেটের বিভিন্নস্তরের আওয়ামী নেতাকর্মীদের। অনেকেই সম্মেলনস্থলে মন্তব্য করেন- ‘একসময় এই দুই নেতা সিলেটে কদর না পেলেও, মন্ত্রীত্ব পাওয়ায় এখন নেতাকর্মীরা তাদের মর্যাদা দিচ্ছেন।’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও কেউ কেউ বিষয়টি নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *