ডেস্ক নিউজ: ছেলের অপেক্ষায় চারদিন ধরে মন্দিরে বসে আছেন বৃদ্ধা পারুল চক্রবর্তী (৮০)। কিন্তু ছেলে আর আসে না। এদিকে অপেক্ষাও শেষ হচ্ছে না মায়ের।
সোমবার (৪ মার্চ) ছেলে সৃজন চক্রবর্তীর সঙ্গে সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথধামে শিব চতুর্দশী মেলায় আসেন পারুল চক্রবর্তী। তীর্থ শেষে বিকেলে সীতাকুণ্ড বটতলা রেলওয়ে কালী মন্দিরে বসতে বলে সৃজন পালিয়ে যায় বলে মায়ের অভিযোগ। এখন বটতলা কালী বাড়িতে আছেন তিনি। বৃদ্ধার আশা, কেউ না কেউ ছেলের কাছে পৌঁছে দেবে তাকে।
পারুল চক্রবর্তীর বরাত দিয়ে মন্দির পরিচালনা কমিটির সদস্য নিতাই বণিক জানান, পারুল চক্রবর্তীর বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার সরকার হাট এলাকায়। তাঁর স্বামী মৃত গোপাল চক্রবর্তী। বড় ছেলে সৃজন চক্রবর্তী বৌ নিয়ে চট্টগ্রাম পাঁচলাইশ এলাকার মেয়র গলিতে ভাড়া বাসায় থাকেন। তিনি পেশায় একজন টেইলার্স। বৃদ্ধার আরও ২ ছেলে ও ২ মেয়ে আছে। তারা হল- সুমন চক্রবর্তী, সীমা, রুমকি ও শিলনী চক্রবর্তী।
আশ্রয়দাতা মিন্টু নাথ জানান, বয়সের ভারে পথ-ঘাট কিছুই মনে করতে পারছে না বৃদ্ধা। কথাবার্তাও এলোমেলো। একেকবার একেক কথা বলছেন। একবার বলেন- তাকে রেখে ছেলে চন্দ্রনাথ মন্দিরে উঠেছে, আরেকবার বলেন- বটতলা মন্দিরে বসতে বলে ছেলে আর খবর নেননি।
সীতাকুণ্ড মেলা কমিটির অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক সমীর কান্তি শর্মা জানান, শিব চতুদর্শী মেলায় তীর্থ করতে এসে ভিড়ের মধ্যে অনেকেই আপনজনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। আমরা হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তির নাম ঠিকানা বলে মাইকে প্রচার করি। প্রচারের পর অনেকে আপনজনদের ফিরে পেয়েছে। ওই বৃদ্ধার কথাও বেশ কয়েকবার প্রচার করেছি। তবে এখনও কেউ তাকে নিতে আসেনি। নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে ওই বৃদ্ধাকে শঙ্কর মঠ অথবা আশ্রমে রাখার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।
নির্বাহী সম্পাদক