মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম : বিয়ানীবাজারের বারইগ্রাম-আছিরগঞ্জ সড়কের একটি অংশে সড়কের অনেকটা জায়গাজুড়ে রয়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। পাশ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে যানবাহন। এতে যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। এই দৃশ্যটা উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের আছিরগঞ্জ এলাকার বারইগ্রাম-আছিরগঞ্জ সড়কের। ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচলের দৃশ্য সবার চোখে পড়লেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। জানা যায়, উপজেলার সীমান্তবর্তী তিলপাড়া ইউনিয়নে সড়কটির অবস্থান হলেও বিয়ানীবাজারসহ গোলাপগঞ্জ ও বড়লেখা উপজেলার মানুষের যাতায়াত এ সড়ক দিয়ে। বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ, আল এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, আছিরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, আছিরগঞ্জ সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা, দিশারী প্রি-ক্যাডেট স্কুল, দেবারাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যাতায়াতেরও একমাত্র সড়ক এটি। পাশপাশি এ সড়কটি উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের আছিরগঞ্জ, দেবারাই, খাগাইল সহ আশপাশের পাঁচ-ছয় এলাকার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র উপায়। এ সড়ক দিয়েই স্থানীয় আছিরগঞ্জ বাজারসহ ইউনিয়ন পরিষদ ও থানা সদরে যাতায়াত করেন এখানকার মানুষ। স্থানীয়দের দাবি, এই খুঁটিটা বেশ কিছু দিন ধরে এই জায়গাতেই রয়েছে। বারইগ্রাম-আছিরগঞ্জ সড়কের আছিরগঞ্জ বাজার থেকে শুরু হয়া রাস্তার মধ্যস্থানে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে খুঁটিটা। পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের কাছে এ খুঁটি সরানোর দাবি জানালেও কেউ গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তাই বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মাহবুব হোসেন আজাদ জানান, উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার এ সড়কটি এখানকার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। এ সড়কের প্রায় মাঝামাঝি স্থানে বৈদুতিক খুঁটিটি দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে। স্থানীয় এলাকাবাসীর জনদুর্ভোগ লাঘবে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সাথে বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থানান্তরের ব্যাপারে আলাপ করবো। পাশাপাশি স্থানীয় আরেক বাসিন্দা যুব সংগঠক ও সমাজকর্মী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানান, মেইন রোডে এই বৈদ্যতিক খুটিটি অত্যান্ত মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি গাড়ী চলাচল সহ মানুষের যাতায়াতে অনেক অসুবিধা ও বেয়াগাত সৃষ্টি হচ্ছে, তাই কর্তৃপক্ষ কে এই খুটিটি যত তারাতারি সম্বব অন্যত্র সরিয়ে অনুরুদ জানান।
নির্বাহী সম্পাদক