জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, আসন্ন গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনিই হবে গোয়াইনঘাট আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী যার মধ্যে নিম্নোক্ত গুনাবলী থাকবে। যিনি জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। দলকে বেগবান করতে যার সর্বাধিক পরিশ্রম রয়েছে। যিনি কখনও দলীয় কার্য়ক্রমের বিরুদী হননি। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের যার প্রতি আস্তা রয়েছে। দলের নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের কাছে যার গ্রহন যোগ্যতা রয়েছে। যিনি দলীয় মনোনয়ন পেলে জয়ী হতে প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতে ব্যায়ভার গ্রহণ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, দলের দূর্দিনে যিনি দলকে সুসংগঠিত করতে আর্থিক, শারীরিক ও মানষিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। যিনি বিরোধী দলে থাকাবস্থায় জেল জুলুমে স্বীকার হয়েছিলেন। দলের প্রতিটি নির্বাচন তথা, জাতীয় সংসদ, উপজেলা পরিষদ,জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে শারীরিক, মানষিক শ্রম ও আর্থিক ক্ষতিগস্থ হয়েছেন। এসব গুনাবলী যার মধ্যে বিদ্যমান তিনিই আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গোয়াইনঘাট উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের একক প্রার্থী।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী বৃহস্পতিবার গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলীয় নেতাকর্মী ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
বিশেষ বর্ধিত সভায় জেলা আ’লীগ নেতৃবৃন্দের সামনে গোয়াইনঘাটে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ৬ জনের নাম প্রস্তাব করেন নিজ সমর্থকেরা। উপজেলা আ’লীগ সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া হেলাল, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান লেবু, যুক্তরাজ্য আ’লীগ নেতা মোঃ গোলাপ মিয়া ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ফারুক আহমদ।
গোলাপ মিয়া ও লেবু সমর্থন করেন ইব্রাহিমকে যুবলীগ নেতা ফারুক সমর্থন করেন হেলালকে। পরে জেলা নেতৃবৃন্দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, গোলাম কিবরিয়া হেলাল ও ফারুক আহমদের নাম নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।
প্রতিনিধি