Home » সেই চিকিৎসক আকাশের স্ত্রী মিতুকে আটক করেছে পুলিশ

সেই চিকিৎসক আকাশের স্ত্রী মিতুকে আটক করেছে পুলিশ

স্ত্রীর ‘অনৈতিক’ সম্পর্ক ও পারিবারিক কলহের আত্মঘাতী চিকিৎসক মো. মোস্তফা মোরশেদ আকাশের স্ত্রী ডা. তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সাড়ে দশটার দিকে মিতুর বাবার বাসা থেকে তাকে আটক পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একটি দল। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান এ খবর নিশ্চিত করেছেন। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, মিতুর বিরুদ্ধে আকাশেকে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর আগে সকাল সাড়ে ছয়টার সময় নগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ভাড়া বাসা থেকে ডা. মো. মোস্তফা মোরশেদ আকাশের অচেতন দেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। তারও পূর্বে বৃহস্পতিবার ভোর রাত ৪টা ২৬ মিনিটে নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট করেন ডা. আকাশ। সেখানে স্ত্রী ডা. তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর মঙ্গে পরিচয় এবং বিয়ের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। সাথে বেশ কিছু ছবিও পোস্ট করেন। স্ত্রীর সাথে অন্য একাধিক যুবকের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি এবং মোবাইলে আদানপ্রদান করা কিছু টেক্সট মেসেজের স্ক্রিনশটও পোস্ট করেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের একটি পোস্টের শেষের দিকে ডা. আকাশ লিখেছেন, ‘আমার শাশুড়ি এর জন্য দায়ী এসবের জন্য, মেয়েকে আধুনিক বানাচ্ছে। একটু বেশি বানিয়ে ফেলেছে। উনি চাইলে এখনো সমাধান হতো। ও মা তুমি মাফ করে দিও। তোমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারলাম না। মায়ের ভালবাসার কখনো তুলনা চলে না। বারবার বলছি ভালো না লাগলে আলাদা হয়ে যাও, চিট করো না, মিথ্যা বল না, বিশ্বাস ভেঙ না। হাজার হাজার ছবি আছে আরো খারাপ খারাপ। দিলাম না যারা বিলিভ করবে এতেই করবে, না করলে নাই।’

তিনি লিখেন, ‘ও আমাকে আর কি ভালবাসল? কিসের বিয়ে করল? আমি শেষ পর্যন্ত চাইছি সব চুপ রেখে সমাধান করে ওকে নিয়ে থাকতে। আমার শ্বশুড় আর শাশুড়িকে বারবার বলছি উনারা সমাধান করতে পারত! আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী আমার বউ। ৯টা বছর যাকে ১০০% ভালবেসেছি, ওকে প্ররোচনা দিয়েছে মইন, মিথি নামে দুই ফ্রেন্ড, ওর মা-বাবা আমাকে মানসিক কষ্ট দিয়ে মারছে।’

‘আমি এই বেইমানি মেনে নিতে পারি নাই। তারপরও ভুলে আমি সুন্দর সংসার করতে চাইছি আমার শাশুড়ি, শ্বশুড় আর বউ নামের কলংক করতে দিল না। আমাকে প্রতিনিয়ত প্রেশার দিয়ে গেছে আমার বউ। আমার মা’র নামে যা তা বলে গেছে। আমাকে ভালো না লাগলে ছেড়ে চলে যাইতে বলছি ১০০ বার। আমি বোকা ছিলাম তুমি সুখে থেক। অনেকে ওর ফ্যান, বিলিভ করবে না আমি জানি। তবে এটাই সঠিক, মরার আগে কেউ মিথ্যা বলে না আর বাইরে থেকে মানুষের ভিতরের চেহারা বুঝা যায় না। ও সুন্দরী, পড়ায় ভালো, গান পারে সত্য কিন্তু ও ভালো অভিনেত্রী ভালো চিটার। যাদের ঈচ্ছা বিলিভ করেন যাদের ইচ্ছা নাই করবে না। তবে কাউকে ভালোবেসে চিটারগিরি করো না।’

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *