২০১৬ সাল থেকে একটি গবেষণা প্রকল্পের অংশ হিসেবে নিবন্ধিত গ্রাহকদের ব্রাউজিং হিস্ট্রি ও ফোনের কার্যক্রম নিতে মাসে ২০ মার্কিন ডলার করে দিচ্ছে ফেইসবুক।
গ্রাহকদের গোপনীয়তা রক্ষায় ফেইসবুকের পদক্ষেপ যথেষ্ট নয় বলে প্রায়ই সমালোচনা হয়ে থাকে। গ্রাহকের ডেটা আরও বেশি সুরক্ষিত রাখতেই এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রকল্পে নিবন্ধন করা ১৩ থেকে ৩৫ বছর বয়সী গ্রাহকদের মাসে ২০ ডলার দিচ্ছে সামাজিক মাধ্যম জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি। এর বদলে ওই গ্রাহকদের ফোন এবং ওয়েব কার্যক্রমের বিস্তারিত পাচ্ছে ফেইসবুক।
গ্রাহক ‘ফেইসবুক রিসার্চ’ নামের ভিপিএন অ্যাপ ইনস্টল করার পরই এর থেকে ডেটা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তি সাইট সিনেট।
অ্যাপটির মাধ্যমে সামাজিক মাধ্যম অ্যাপের ওয়েব সার্চ, লোকেশন ডেটা, গোপন বার্তা এবং অন্যান্য ডেটা পাচ্ছে ফেইসবুক। এমনকি গ্রাহক অ্যামাজন থেকে কোন পণ্য অর্ডার করছেন তার স্ক্রিনশটও দিতে বলা হয়েছে অংশগ্রহণকারীদের।
বেটা সংস্করণ পরীক্ষা সেবা বেটাবাউন্ড, ইউটেস্ট এবং অ্যাপলাউস ফেইসবুকের ভিপিএন অ্যাপটি ছড়াতে সহায়তা করেছে। প্রাথমিকভাবে এর সাইন-আপ পেইজে উল্লেখ করতারা ফেইসবুককে তাদের ডেটা নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছেন।
কিন্তু অ্যাপলাউস-এর চালানো একটি পেইজের মাধ্যমে এই প্রকল্পে সাইন-আপ করলে গ্রাহকের মা-বাবাকে একটি ফর্ম সাইন করতে বলা হয়েছে, যাতে ফেইসবুকের অন্তর্ভুক্তির কথা উল্লেখ করা আছে।
অনেকটা ফেইসবুকের ‘ওনাভো প্রোটেক্ট’ অ্যাপের মতোই কাজ করে ‘ফেইসবুক রিসার্চ’। এর আগে গোপনীয়তা নীতিমালা না মানায় অ্যাপ স্টোর থেকে ওনাভো প্রোটেক্ট অ্যাপটি নিষিদ্ধ করে অ্যাপল। ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে অ্যাপটি সরিয়ে নেয় ফেইসবুক।
ফেইসবুকের এক মুখপাত্র বলেন, “অনেক প্রতিষ্ঠানের মতোই আমরা গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের আমন্ত্রণ জানাই যা আমাদের আরও ভালো করা যায় এমন বিষয়গুলো শনাক্ত করতে সহায়তা করে।”
“যেহেতু এই গবেষণাটি মানুষ কীভাবে মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে ফেইসবুককে তা বুঝতে সহায়তা করে, তাই আমরা কী ধরনের ডেটা সংগ্রহ করছি এবং কীভাবে এতে অংশ নিতে পারবেন গ্রাহককে তার বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। আমরা এই তথ্যগুলো অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করি না এবং গ্রাহক চাইলে যেকোনো সময় এতে অংশ নেওয়া বন্ধ করতে পারেন।”
নির্বাহী সম্পাদক