আজ মঙ্গলবার বিকেলে সড়কের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ইয়াছিন মল্লিক (২৩) নামে হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াসিন পাওনা ১৫০০ টাকার জন্য হৃদয়কে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে।
এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি শিশুটি লালবাগ থেকে নিখোঁজ হয়। এই ঘটনায় লালবাগ থানায় একটি জিডি (নং ১১৭৭) করা হয়। হৃদয়ের বাবার রমজান আলী পেশায় রাজমিস্ত্রি। তাদের গ্রামের বাড়ি খুলনা। হৃদয় মা-বাবার একমাত্র সন্তান। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশের লালবাগের বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কামাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গ্রেপ্তার ইয়াছিন হৃদয়ের বাবা রমজান সানার কাছে ১৫০০ টাকা পেত। সেই টাকা না দেয়ার কারণে ক্ষোভে থেকে হৃদয়কে হত্যা করে। ইয়াছিন মল্লিক পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ২৬ জানুয়ারি বিকেলে লালবাগের বালুরমাঠে ফুটবল খেলার সময় হৃদয়কে ডেকে কামরাঙ্গীরচরের আলী নগর সড়কের নিজের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় ইয়াছিন। সন্ধ্যার দিকে সেখানে নিয়ে তার মুখ ও নাক চেপে ধরে, এরপর মুখ ও নাকে স্কচটেপ পেচিয়ে হত্যা করে।
ইয়াসিনকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, হত্যার পর মরদেহ গুম করতে বস্তায় ঢুকিয়ে প্রথমে খাটের নিচে রাখে। সেখানে দুদিন রাখার পর মরদেহ থেকে গন্ধ বের হলে ১৮ জানুয়ারি সোয়া ১২ টার দিকে বাসা থেকে বস্তা বের করে আলী নগর গলির মাথায় রেখে যায়। সকলে স্থানীয়রা গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। এরপর কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
নির্বাহী সম্পাদক