নন্দিত সঙ্গীতশিল্পী কিশোর কুমারের গাওয়া ‘একদিন পাখি উড়ে যাবে যে আকাশে’ গানটি ইত্যাদির মঞ্চে গেয়ে রাতারাতি পরিচিতি পান আকবর। একজন সাধারণ রিকশাচালক থেকে ইত্যাদির মঞ্চে গান গেয়ে জয় করেছিলেন লাখো মানুষের হৃদয়।পরে নিজের মৌলিক গান ‘তোমার হাত পাখার বাতাসে’ অডিও-ভিডিও দুটোই সুপারহিট ছিল। আকবরের জীবন ভালোই চলছিল। দেশ-বিদেশের মঞ্চে গান গেয়ে জীবন কাটাচ্ছিলেন তিনি। ভালোই চলছিল সংসার।কিন্তু হঠাৎ করেই কিডনির অসুখে আক্রান্ত হন আকবর। দেখা দেয় ডায়াবেটিসও। ছন্দপতন ঘটে জীবনের। তখন আকবরের পাশে এসে দাঁড়ান এই শিল্পীর আবিষ্কারক হানিফ সংকেত। চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে নতুন করে শুরু করেছিলেন সবকিছু।এক বছরের ব্যবধানে আবারও পুরনো অসুখের আক্রমণের শিকার গায়ক আকবর। মিরপুর ১৩ নম্বরে ভাড়া বাড়িতে বিছানায় শুয়েই দিন কাটছে আজকাল। গান তো দূরে থাক, ঠিকমতো চলাফেরা করতেও কষ্ট হচ্ছে তার।আকবর বলেন, ‘মাঝে কিছুটা সময় ভালো ছিলাম। আবার বিছানায় পড়ে গেলাম। দুই চোখে অন্ধকার দেখছি। কয়েক বছর ধরে শরীরের পেছনে টাকা ঢালতে ঢালতে সঞ্চয় বলে আর কিছুই নেই হাতে। হানিফ সংকেত স্যার কয়েক দফায় সাহায্য করেছেন। সেগুলো দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। একটা মানুষকে আর কত বলা যায়। নিজেরই লজ্জা লাগে। উনি নিতান্তই ভালো মানুষ বলে এভাবে আমার পাশে আছেন।’আকবর আরও বলেন, ‘কিডনি ও রক্তে ইনফেকশন। এছাড়া ডায়াবেটিস আছে। কিডনি রিপ্লেস করলে ভালো হবে বলছে সবাই। কিন্তু এতো টাকা পাবো কোথায়? স্ত্রী, দুই পুত্র ও কন্যাকে নিয়ে কোনোমতে দিন পার করছি।প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে আকবর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মমতার গল্প সবখানেই শুনি। শিল্পীদের পাশে দাঁড়ান তিনি। আমার তো এমন কেউ নেই যে তার কাছে নিয়ে যাবে। আমি সুস্থ হতে চাই। আবারও গান করতে চাই।
বার্তা বিভাগ প্রধান