সড়ক দুর্ঘনায় ছাত্রলীগ নেতা সারওয়ার খান নিহতের ঘটনায় ঘাতক বাস ড্রাইভার ও সিএনজি ড্রাইভারকে গ্রেফতার ও দুর্ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় স্প্রিড ব্রেকার নির্মাণের দাবিতে মেজরটিলায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় জনসাধারণ ও আল আমিন জামেয়া উচ্চ বিদ্যালয়, শাহজালাল মারকাজুদ তাফিজ উচ্চ বিদ্যালয়, স্কলারসহোম, দেবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করেন। এসময় দীর্ঘ যানজটের কারনে সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বলে জানা যায়।
অবরোধকারীরা জানিয়েছেন, এই দুর্ঘটনার সাথে জড়িত ঘাতক বাস ড্রাইভার ও সিএনজি ড্রাইভারকে গ্রেফতারের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া উল্লেখিত স্থানে ৩টি স্প্রিড ব্রেকার, ১টি ফুটওভার ব্রীজ স্থাপনের দাবি জানান তারা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শাহপরাণ থানার ওসি আখতার হোসেনের আশ্বাসে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আল আমীন জামেয়ার প্রিন্সিপাল জসীম উদ্দিন, শাহ জালাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুরঞ্জিত দাস, স্কলার্সহোমের প্রিন্সিপাল আব্দুল বারী জামালী, মহানগর যুবলীগের সিনিয়র সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি সামাদ আহমদ, নাট্য সম্পাদক ফাহাদ আহমদ রুমেল, জেলা যুবলীগের অর্থ সম্পাদক অপু তালুকদার, সেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক ওয়ালীউল্লাহ্ বদরুল, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সম্পাদক কামরুল ইসলাম সহ মেজরটিলা বাজার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) রাত ৮টায় মেজরটিলা ওয়ান ব্যাংকের সামনে হানিফ পরিবহণ বাসের সাথে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন ছাত্রলীগ নেতা সারওয়ার। সারওয়ার খান যে মোটরসাইকেলটি চালিয়ে যাচ্ছিলেন সে বাইকের সাথে সিএনজির ধাক্কা লাগে। সিএনজির ধাক্কা খেয়ে মোটর সাইকেলটি হানিফ পরিবহন বাসের নিচে পড়ে যায়। তখন সারওয়ার গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান এবং তার সাথে থাকা ছাত্রলীগ নেতা অনিক গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জনতা বাসটিকে ধরে ফেললেও সিএনজি চালক বা সিএনজি ধরতে পারেনি।
নির্বাহী সম্পাদক