নবীগঞ্জ প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জের বহুল আলোচিত কলেজ ছাত্রী তন্নী রায়কে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা মামলার রায় ৭ জানুয়ারি সোমবার ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে। গত ১ ও ২ জানুয়ারি আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে মামলার রায়ের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ সিলেট এর বিচারক মো. রেজাউল করিমের আদালতে যুক্তিতর্ক চলে। বিভাগীয় স্পেশাল পিপি কিশোর কুমার কর আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিষয়ে আইনগত যুক্তি উপস্থাপন করেন। অন্যদিকে আসামিদের আইনজীবীও আসামিকে নির্দোষ দাবি করে তাঁদের বেকসুর খালাস দাবি করে আইনগত যুক্তি তুলে ধরেন। উভয় পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে বিচারক ৭ জানুয়ারি সোমবার রায়ের দিন ধার্য করেন।
আলোচিত এই হত্যাকান্ডের এক বছর সাত মাস পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ কর্তৃক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি স্থানান্তর করা হয়। এরপর ২০ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। হত্যাকান্ডের মূল অভিযুক্ত রানু রায় বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বেলা দেড়টার দিকে তন্নী রায় নবীগঞ্জ শহরতলীর শেরপুর রোডস্থ ইউকে আইসিটি ইন্সটিটিউট কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। তার নিখোঁজের ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন তন্নী রায় এর বাবা বিমল রায়। সাধারণ ডায়েরী করার ৩ দিনের মাথায় তন্নীর বস্তাবন্দি লাশ নবীগঞ্জ শহরতলীর একটি নদী থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
নির্বাহী সম্পাদক