সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন- নৌকার পক্ষে সিলেটে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ বিগত দশ বছরে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন দেখেই আগামী নির্বাচনে নৌকার পক্ষে রয়েছে এবং নৌকার প্রার্থীদের বিজয়ী করবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর বাকি মাত্র ১ দিন। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে প্রচার প্রচারণা। শেষ মুহূর্তে ভোটারদের মন জয় করতে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন প্রার্থীরা। শেষদিনে সিলেটের ৬টি সংসদীয় আসনে প্রার্থীদের মধ্যে লক্ষ্য করা গেছে তৎপরতা। প্রার্থীরা গণসংযোগের পাশাপাশি করেছেন জনসভা। শেষ জনসভাগুলোতে বক্তব্যে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। আর শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণ ধানের শীষের পক্ষেই নীরব ভোট দেবে বলে মনে করছেন বিএনপি সংশ্লিষ্টরা। শেষ দিনে প্রচারণায় সিলেটের আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা যেখানেই গেছেন সেখানেই মানুষের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। অপরদিকে বিএনপির প্রার্থীদের সাথে মানুষ থাকলেও গত পাঁচদিন ধরে বিভিন্ন মামলার আসামী নেতাকর্মীদের ধরপাকড়ের কারণে অনেকেই গা-ঢাকা দিতে হয়েছে বলে জানা গেছে। অনেকেই নিজ বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করছেন। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী সিলেটের সবকটি আসনে বৃহস্পতিবার বিকালে শেষ শোডাউন করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থীদের ধারণা- দেশের উন্নয়নের স্বার্থে মানুষ আবারো নৌকায় উপর আস্থা রাখবে। কোনভাবেই এদেশের জনগণ দুর্নীতিবাজ, বোমাবাজদের হাতে দেশের দায়িত্ব তুলে দেবে না। আবারো শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। সিলেটে শেষ দিনে প্রচারণায় ব্যস্ত থাকলেও বিভিন্ন যায়গায় কিছু নেতাকর্মী গ্রেফতার হওয়ায় কিছুটা বেকায়দায় পড়েছেন বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা। সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুললেও জয়ের ব্যপারে আশাবাদী তারা। বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন- যদি সিলেটে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তবে ৩০ ডিসেম্বর ছয়টি আসনেই জয়ের মালা পরবেন বিএনপির প্রার্থীরা। সিলেটের মানুষ এখনো নীরব রয়েছে, ধানের শীষে এই নীরব ভোটেই বিজয়ী হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তারা। নিজেদের অবস্থানের ব্যপারে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন- সিলেটে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থীরা যেখানেই প্রচারণায় গেছেন সেখানেই জনগণ ভালোবাসার সাথে তাদের গ্রহণ করেছে এবং স্বতস্ফুর্ত সমর্থন দিয়েছে। নৌকার প্রার্থীদের প্রতি সাধারণ ভোটারদের এই সমর্থনই নির্বাচনে জয়ের পথ সুগম করবে।
বার্তা বিভাগ প্রধান