সিলেটের বিশ্বনাথে অটোরিকশা (সিএনজি) চালক কামরুল ইসলামের (১৯) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে রবিবার সকালে জনতার সহযোগিতায় তিনজনকে আটক এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু ও অটোরিকশা উদ্ধার করেছে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ।
নিহত কামরুল ইসলাম বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের বাইশঘর গ্রামের নূরউদ্দিনের ছেলে। শনিবার রাতে দক্ষিণ সুরমার থানার বিবিদলই এলাকায় রাস্তার পাশে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। তাৎক্ষনিক বিষয়টি এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েন। এমন খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে অটোরিকশা চালকের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
আটককৃতরা হলেন-বিশ্বনাথ উপজেলার আটঘর গ্রামের আবদুর রূপের ছেলে আবদুস সালাম (২৯), একই গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে নাজিম উদ্দিন (৩০), সিলেট নগরীর মদিনা মার্কেটের এলাকার বাসিন্দা আলফু মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান (৩০)।
বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, শনিবার বিকেলে আটককৃতরা যাত্রীবেশে অটোরিকশা গাড়িটি ভাড়া নিয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু রাত ১০টায় অটোরিকশা চালকের পরিবারের লোকজন তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ব্যবহৃত ফোন বন্ধ পান। এরপর থেকে তারা কামরুল ইসলামকে খোঁজাখুঁজি করেন।
তিনি বলেন, অটোরিকশা চালককে গাড়ি ভাড়া করে যারা নিয়ে গিয়েছিল তাদেরকে চালকের এক নিকট আত্মীয় দেখতে পায়। রবিবার সকালে আটঘর গ্রামের আটক নাজিম উদ্দিনকে নিহত চালকের আত্মীয়-স্বজন ডেকে আনে। পরে তিনি অটোরিকশা চালককে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেন। তার সঙ্গে অপরজন আবদুস সালাম ছিল বলে জানায়। পরে এলাকাবাসী আবদুস সালামকে আটক করেন। পরে আটককৃতদের বিশ্বনাথ পুলিশ নিয়ে আসে।