ভেতরে শাবনূর, বাইরের ভক্তদের অপেক্ষা। মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দী করেন অমৃতা খানএমন দৃশ্য অনেক দিন দেখা যায়নি। কারণ, শাবনূর এখন আর ছবির শুটিং করেন না। শুটিংয়ের জন্য যেতে হয় না দেশের নানা জায়গায়। চলচ্চিত্রের ঘরোয়া অনুষ্ঠান ছাড়া জনসমক্ষে খুব একটা আসেন না তিনি। অনেক দিন পর এলেন, আর তাঁর আসার খবরে আশুলিয়া টঙ্গিবাড়ী এলাকায় ভিড় করে হাজারো জনতা। নায়িকা শাবনূরকে এক নজর দেখার জন্য ছুটির দিন শুক্রবার বেলা তিনটা থেকে রাস্তায় অপেক্ষা করেন তাঁর ভক্তরা। এ প্রজন্মের চিত্রনায়িকা অমৃতা খানের ফ্যাশন হাউসের উদ্বোধন করতে গিয়ে এ পরিস্থিতির মুখোমুখি হন শাবনূর।
গত শতকের নব্বই দশকের চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর। টানা কাজ করেছেন ২০১০ সাল পর্যন্ত। উপহার দিয়েছেন ব্যবসাসফল ও দর্শকপ্রিয় অসংখ্য ছবি। কয়েক বছর ধরে অভিনয়ে অনিয়মিত একসময়ের দাপুটে এই চিত্রনায়িকা। এ সময় তিনি ঢাকা-সিডনি-ঢাকা, এভাবে যাওয়া-আসার মধ্যে আছেন। ইদানীং ছবিতে অভিনয় না করলেও একমাত্র সন্তান আইজানকে নিয়ে যান চলচ্চিত্রের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে গিয়েছিলেন আশুলিয়ায় আরেক চিত্রনায়িকা অমৃতার ফ্যাশন হাউস উদ্বোধন করতে।
শাবনূর বলেন, ‘দেশের মানুষ ভালোবেসে আমাকে শাবনূর বানিয়েছেন। এই ভালোবাসা সব সময় অনুভব করি। গতকাল আরও ভালোভাবে অনুভব করেছি। আমার যাওয়ার খবরে এত মানুষ জমা হবে, ভাবতে পারিনি। তবে ভক্তদের সঙ্গে বেশিক্ষণ সময় কাটাতে পারিনি। সবার প্রতি আমার ভালোবাসা রইল। সবাইকে শুধু একটা কথাই বলব, আমার জন্য দোয়া করবেন। এভাবেই সব সময় ভালোবেসে যাবেন।অমৃতার ফ্যাশন হাউস উদ্বোধন করেন শাবনূর।
ছোটবেলায় নাচের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অমৃতা খান। একসময় চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পান। প্রথম ছবি ‘গেইম’। এরপর আরও তিনটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তবে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের মতে, চলচ্চিত্রে সাফল্যের মুখ দেখেননি বলে ব্যবসায় মনোযোগী হয়েছেন তিনি।
অমৃতা বলেন, ‘শাবনূর আপুর আসার খবরে পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। আপু অল্প কিছু সময় ছিলেন। এত লোক দেখে আমরাও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে শাবনূর আপুকে বেশিক্ষণ রাখা ঠিক হবে না। আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাঁকে দ্রুত পাঠিয়ে দিই। আপু যে দেশের চলচ্চিত্রে এখনো অপ্রতিদ্বন্দ্বী, তা নিজ চোখে দেখেছি। শাবনূর ছাড়াও অমৃতার ফ্যাশন হাউস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ছিলেন এ প্রজন্মের আরও কয়েকজন অভিনয়শিল্পী।